জলপাইগুড়ি: গাছের মাঝে আটকে ছিল হাতি ছানা। অবশেষে ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে ফের জঙ্গলে ফিরিয়ে দিলেন বন কর্মীরা। আর সেই উদ্ধারকাজের গল্প চাউর হতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে নাগরিক মহলে। একেবারে প্রাণ হাতে করে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বন কর্মীরা। কী হয় কী হয় অবস্থার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত আসে সাফল্য। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বেলা ১০ টা নাগাদ দার্জিলিং ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের অধীনে থাকা মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি নর্থ রেঞ্জ এলাকায় টিম নিয়ে জঙ্গল টহলদারিতে বেরিয়ে ছিলেন রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার লায়েক। আচমকাই তিনি শুনতে পান অদ্ভুত স্বরে হাতি ডাকছে। তাতেই তিনি বুঝে যান কোনও হাতি বিপদে পড়েছে।
এরপরেই রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার লায়েক পাহাড়ি পথ ধরে টিম নিয়ে ঘন জঙ্গলের দিকে এগিয়ে যান। পাহাড়ের ঘন জঙ্গল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়া খুব কষ্টকর। কিন্তু হাতির বিপদ দেখে তারা এগিয়ে যেতে থাকেন। প্রায় দু’ঘন্টা হাঁটবার পর তাঁরা গিয়ে দেখেন একটি হাতির ছানা দু’টি গাছের মাঝে আটকে গিয়েছে। ওই অবস্থাতেই চিৎকার করছে। দেখা যায় কিছুটা দূরে জঙ্গলের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে বুনো হাতির দল। বনকর্মীরা ছানাটিকে উদ্ধার করতে গেলে বেগ পেতে হয়। তেড়ে আসে মা হাতি। যদিও তাকে পাশ কাটিয়েই চলে উদ্ধার কাজ। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় হাতিটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাতেই খুশি বনকর্মীরা।
ঘটনায় রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার লায়েক বলেন, “সকালে ডিউটিতে গিয়েই হাতির ছানার চিৎকার শুনতে পাই। তখনই বুঝে যাই ওদের কিছু একটা বিপদ হয়েছে। এরপর কাছে গিয়ে দেখি গাছের ফাঁকে আটকে আছে একটা ছোট্ট হাতি। কিন্তু ওই অবস্থায় যদি কুনকি হাতি ডাকতে যাই তবে গরুমারা জাতীয় উদ্যান থেকে এখানে কুনকি হাতি আসতে অন্তত ১৫ ঘন্টা সময় লাগবে। আর ততক্ষনে ছানাটি মারা যাবে। তাই আমরা নিজেরাই উদ্ধার করলাম।”