Jalpaiguri News: ‘পাগলের’ মতো গেম খেলছিলেন গৃহবধূ, শাড়িতে ধরল আগুন, হুঁশ ফেরার আগে ঘটে গেল বিপদ

Nileswar Sanyal | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 18, 2024 | 5:42 AM

Jalpaiguri News: জানা গিয়েছে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে শিখা রায় বর্মন নামে এক গৃহবধূ আগুন পোহাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ফোন নিয়ে বসে গেম খেলছিলেন। আর গেম খেলায় এতটাই মগ্ন হয়ে যান তিনি যে প্রথমে টেরই পাননি তাঁর কাপড়ে আগুন ধরে গিয়েছে। এরপর আগুন যখন তাঁর সারা শরীরে সরিয়ে পড়ে সেই সময় চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছোটাছুটি শুরু করেন।

Jalpaiguri News: পাগলের মতো গেম খেলছিলেন গৃহবধূ, শাড়িতে ধরল আগুন, হুঁশ ফেরার আগে ঘটে গেল বিপদ
শিখা রায় বর্মণ
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: ঠান্ডায় জুবুথুবু গোটা বাংলা। আর যদি তা উত্তরবঙ্গ হয় কোনও কথাই নেই। কম্বল আর লেপ ছেড়ে বের হওয়া দায় কার্যত। তাই শীতে হাত-পা-কে সচল রাখতে বাড়ির সামনেই আগুন পোহাচ্ছিলেন এক গৃহবধূ। আর তখনই যত কাণ্ড। ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের খাগড়া বাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনির বাসিন্দারা।

জানা গিয়েছে, হাড় কাঁপানো ঠান্ডা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে শিখা রায় বর্মন নামে এক গৃহবধূ আগুন পোহাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ফোন নিয়ে বসে গেম খেলছিলেন। আর গেম খেলায় এতটাই মগ্ন হয়ে যান তিনি যে প্রথমে টেরই পাননি তাঁর কাপড়ে আগুন ধরে গিয়েছে। এরপর আগুন যখন তাঁর সারা শরীরে সরিয়ে পড়ে সেই সময় চিৎকার করতে থাকেন তিনি। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছোটাছুটি শুরু করেন।

এ দিকে, গহবধূর চিৎকার শুনে বাড়ির অন্য সকল লোকজন ছুটে আসেন ওই এলাকায়। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ময়না গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধূর হাত এবং কোমর থেকে নিচের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শিখা রায়ের আত্মীয় মনিকা রায় বলেন, “আগুন পোহাচ্ছিল। হঠাৎ শুনি চিৎকার। আমি বাইরে বেরিয়ে আসতেই আমায় জড়িয়ে ধরছিল। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। তারপর লোকজন ডেকে ওকে হাসপাতালে ভর্তি করাই।”

Next Article