জলপাইগুড়ি: পুজো মিটতেই রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা (Corona)। তেইশ জেলাতে গ্রাফ উর্ধমুখী । জলপাইগুড়িতেও (Jalpaiguri) ইতিমধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা বিশের গণ্ডি পার করে গিয়েছে।
এমতাবস্থায় ফের শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামছে জেলার প্রশাসন। সঠিক করোনা বিধি (Corona) না মানলে এবার গ্রেফতারির পথে হাঁটবে পুলিশ প্রশাসনও। রবিবার একটি সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এহেন সিদ্ধান্তের কথা জানান জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার (Police Super)।
করোনার (Corona) উর্ধমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার পথে নামেন খোদ পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত। রবিবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরে একগুচ্ছ সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। শহরজুড়ে র্যালির পাশাপাশি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে করোনা (Corona) সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করেন। এদিনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (Police Super), ডি এস পি সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা।
যদিও, শহরের এদিনের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। বাজার এবং জলবহুল এলাকাগুলিতে ছিল না সচেতনার লেশমাত্র। রবিবাসরীয় সকালে জলপাইগুড়ি শহরের বাজারগুলিতে কার্যত উপচে পড়ে ভিড়। এরই ফলস্বরূপ জায়গাগুলিতে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলেই আম জনতাকে বাজার করতে দেখা যায়। পাশাপাশি ভিড়ের বেশিরভাগ মানুষের মুখেই ছিল না মাস্ক (Mask)। অনেকের আবার মাস্ক থাকলেও তা বরাবর থুতনির নিচেই নামানো ছিল অধিকাংশ সময়।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার (Police Super) দেবর্ষি দত্ত বলেন, “আজও আমরা সচেতন করার কাজেই জোর দিয়েছি। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় নেমে করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করা হয়েছে। একইসাঙ্গে নাইট কার্ফুর বা রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ নিয়েও প্রচার করা হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সাধারণ মানুষের কাছে মাস্ক ব্যাবহার করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে আই শেষদিন। কাল থেকে কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ প্রশাসন। মাস্কহীন কাউকে দেখা গেলেই সরাসরি গ্রেফতার করা হবে। পাশাপাশি অন্যান্য করোনা বিধি মানা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।”
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলার মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৪৬৬ জন। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় মারণ ভাইরাসের বলি ১২ জন। জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। যদিও সুস্থতার হার একমাত্র আশার আলো বিশেষজ্ঞদের কাছে। বর্তমানে ৯৮.৩১ শতাংশ সুস্থতার হার। মৃত্যুহার ১.২০ শতাংশ। কোভিড বুলেটিন জানাচ্ছে, ২৩ অক্টোবর মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৫ হাজার ১৫৯টি। রাজ্যে মোট পজিটিভিটি রেট এখন ২.২৬ শতাংশ। আর একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮০৮ জন।