জলপাইগুড়ি: পাচারের নিত্য নতুন ছক। কিন্তু তাতেও চোখ এড়াতে পারছেন না ওঁরা। কোনও পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে, কখনও আবার সবজির আড়ালে-বার্মাটিক পাচার করতে গিয়ে গত কয়েক মাসে টানা তল্লাশি অভিযানে গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক জন। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে ফের বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ি বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। ফের ৫০ লক্ষ টাকার বার্মা টিক উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। বন আধিকারিকদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। গোপন খবরের ভিত্তিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ফাটাপুকুর এলাকায় নাকা চেকিং চালাতে থাকেন তাঁরা। একটি কনটেইনার দাঁড় করিয়ে তল্লাশি করেন। চালককে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু তাঁর কথায় অসঙ্গতি থাকায়, তল্লাশি চালানো হয় গাড়িতে। গাড়িতে থরে থরে সাজানো ছিল বার্মা টিক।
এরপর চালকের কাছে কাঠের কাগজ দেখতে চান বনকর্মীরা। গাড়িতে চালকের পাশে ছিলেন আরও এক জন। তাঁরা কাঠের কোনও যথাযথ কাগজ দেখাতে পারেননি। পাচারের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় কন্টেইনারটিকে। ধৃত দুই পাচারকারীকে জেরা করে বনকর্মীরা জানতে পেরেছেন অসমের কোকরাঝাড় সেগুন কাঠগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কলকাতায়। ধৃতদের শুক্রবার আদালতে তোলা হবে। পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বনদফতর।
বুধবার রাতেও বৈকন্ঠপুর বন বিভাগ ও স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের কর্মীরা একটি ধাবায় তল্লাশি চালিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার সেগুন কাঠ উদ্ধার করে। আসলে যে কন্টেইনার করে কাঠ পাচার হচ্ছিল, তার চালক ধাবায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাবার যাচ্ছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সেখানে অভিযান চালান বনকর্মীরা। ওই কাঠ গুয়াহাটি থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনায় হরিয়ানার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।