Jalpaiguri: ২০১২ কাট টু ২০২৪! এক নাগাড়ে অশ্লীল ছবি পোস্ট করে উত্ত্যক্ত করে বিয়ে ভাঙার চেষ্টা, অতঃপর…

Nileswar Sanyal | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Oct 30, 2024 | 6:25 PM

Jalpaiguri: অভিযোগ ২০১২ সাল থেকে বিষয়টার সূত্রপাত। নাগাদ ময়নাগুড়ি ব্লকের বৌলবাড়ি এলাকায় থাকা মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের সময় রোজ উত্ত্যক্ত করতেন ওই যুবক। এই নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ভাবে সালিশ করার চেষ্টা করেছিল গৃহবধূর পরিবার। পরে ২০২২ সালে মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেয়।

Jalpaiguri: ২০১২ কাট টু ২০২৪! এক নাগাড়ে অশ্লীল ছবি পোস্ট করে উত্ত্যক্ত করে বিয়ে ভাঙার চেষ্টা, অতঃপর...
গ্রেফতার অভিযুক্ত
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি:  অশ্লীল ছবি পোস্ট করে গৃহবধূর সংসারে অশান্তি লাগিয়ে বারবার বিয়ে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা। অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা গৃহবধূর। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ময়নাগুড়িতে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে গৃহবধূর অশ্লীল ছবি পোস্ট করে এর আগে একবার সংসার ভেঙে দিয়েছিল অভিযোগ। এরপর ওই মহিলার ফের বিয়ে হয়।জানতে পেরে যুবক ফের ওই গৃহবধূ-সহ তাঁর অবিবাহিত ননদ ও শ্বশুর বাড়ির অন্যান্য মহিলাদের অশ্লীল ছবি ফেসবুক-সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপর থানার দ্বারস্থ হন নিগৃহীতা। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

অভিযোগ ২০১২ সাল থেকে বিষয়টার সূত্রপাত। নাগাদ ময়নাগুড়ি ব্লকের বৌলবাড়ি এলাকায় থাকা মেয়েকে স্কুলে যাতায়াতের সময় রোজ উত্ত্যক্ত করতেন ওই যুবক। এই নিয়ে ওই সময় স্থানীয় ভাবে সালিশ করার চেষ্টা করেছিল গৃহবধূর পরিবার। পরে ২০২২ সালে মেয়ের ১৮ বছর বয়স হলে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দেয়।

বিয়ের পর শুরু হয় ফেসবুকে ছবি ভাইরাল করা। এরপর এই নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অশান্তি হলে মেয়েটি বাপের বাড়ি চলে আসে। পরে তার শ্বশুর বাড়ি গ্রহন না করলে মেয়েটি বাপের বাড়িতে থেকে যায়। এরপর সম্প্রতি ৬ মাস আগে মেয়েটির অন্যত্র বিয়ে হয়।

নিগৃহীতার মা বলেন, “স্কুলে যাতায়াতের সময় থেকেই আমার মেয়েকে তাপস সরকার উত্যক্ত করতো। পরে ১৮ বছর হলে মেয়েকে বিয়ে দেই। এরপর তাপস আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছাড়তে থাকে।মেয়ের বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর ৬ মাস আগে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেই। আবার ওই ছেলেটি নতুন করে আমার মেয়ের অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দিচ্ছে। লজ্জায় অপমানে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। গ্রেফতার হয়েছে। উপযুক্ত শাস্তি চাই।”

নির্যাতিতার স্বামী বলেন, “শুধু আমার স্ত্রীর অশ্লীল ছবি নয়। আমার ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম থেকে আমার অবিবাহিত বোন-সহ বাড়ির অন্যান্য মেয়েদের ছবি সংগ্রহ করে সেই ছবিতে বিভিন্ন অশ্লীল মন্তব্য লিখে ফের ফেসবুকে ভাইরাল করে দিচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”

আইসি ময়নাগুড়ি সুবল ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

ময়নাগুড়ির আই সি সুবল ঘোষ বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Next Article