Jalpaiguri Death: মা-কে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছেলেও, একসঙ্গে মৃত্যু ২ জনের
Jalpaiguri Death: স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি আদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ননীবালা রায় (৫৫)। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি একটি টিনের ঘরে বসবাস করছিলেন। পাশেই একটি পাকা বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাস করতেন প্রৌঢ়ার ছেলে টিঙ্কু রায় (৩৪)। রবিবার সকালে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। যার জেরে কোনও ভাবে শর্ট-সার্কিট হয় ননীবালাদেবীর টিনের চাল।
জলপাইগুড়ি: বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন মা। তাঁকে ছটফট করতে দেখে দৌড়ে যান ছেলে। যার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনিও। মুহুর্তে মৃত্যু হয় দু’জনের। যদিও, কপাল জোরে প্রাণে বাঁচেন পরিবারের অপর তিন সদস্য। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া জলপাইগুড়ি পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের আদরপাড়া দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, জলপাইগুড়ি আদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা ননীবালা রায় (৫৫)। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি একটি টিনের ঘরে বসবাস করছিলেন। পাশেই একটি পাকা বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাস করতেন প্রৌঢ়ার ছেলে টিঙ্কু রায় (৩৪)। রবিবার সকালে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। যার জেরে কোনও ভাবে শর্ট-সার্কিট হয় ননীবালাদেবীর টিনের চাল। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। মায়ের চিৎকার শুনে পাশের থেকে ছুটে আসেন টিঙ্কু। দৌড়ে গিয়ে ননিবালাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু রক্ষা হয়নি। দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ঋষিকেশ বর্মণ বলেন, “গতকাল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ননীবালা রায়ের বাড়ি। অভিযোগ জানালে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে পরিষেবা স্বাভাবিক করে দিয়ে যান। এরপর আজ সকালে গোটা বাড়ি শর্ট সার্কিট হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।” গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।