Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

King Cobra vs Python Video: আস্ত পাইথন গিলে খেল কিং কোবরা! চোখের সামনে দেখল ডুয়ার্সবাসী

Snake Fight: সাপের লড়াই দেখতে মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হল বন দফতরের কর্মীদের। সাপের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতল? সেটা দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বুধবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকা।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2024 | 3:59 PM

মেটেলি: এক দিকে কিং কোবরা। যার প্রবল নিউরোটক্সিক বিষের ছোবল ৩০ মিনিটে একজন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে। অন্যদিকে অজগর। যার বিষ নেই, কিন্তু গায়ে প্রচণ্ড শক্তি। যে কুণ্ডলী পাকিয়ে পেঁচিয়ে ধরে দম বন্ধ করে মেরে ফেলতে পারে নিজের শিকারকে। দুই-য়ে যখন মুখোমুখি হয়, তখন কী কাণ্ড ঘটতে পারে ভেবেছেন? একেবারে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর। বুধবার এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকা। একেবারে লোকালয়ের মধ্যে কিং কোবরা ও অজগরের লড়াই। এমন দৃশ্য রোজ রোজ দেখা যায় না। বিরল সেই লড়াই দেখতে ভিড় জমালেন প্রায় শতাধিক মানুষ।

সাপের লড়াই দেখতে মানুষের ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হল বন দফতরের কর্মীদের। সাপের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে জিতল? সেটা দেখতেই ভিড় জমিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। বেশ কিছুক্ষণের লড়াইয়ের পর অবশ্য কিং কোবরার ছোবলের সামনে হারতে হল অজগরকে। আস্ত অজগরকে গিলে খেল প্রকাণ্ড আকারের কিং কোবরা। দক্ষিণ ধূপঝোরার মনেশ্বরপাড়া এলাকায় সাপের লড়াইয়ের এই খবর যায় বন দফতরের কাছেও। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ ধূপঝোরার গাছবাড়ি বিট অফিসের বনকর্মীরা পৌঁছে যান সেখানে। প্রায় ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় কিং কোবরাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। বন দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া ওই সাপটিকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ছেড়ে দেওয়া হয়।

লোকালয়ের মধ্যে কিং কোবরার ঘোরাঘুরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলার অন্যতম সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরীও। তাঁর বক্তব্য, ‘কিং কোবরার প্রধান খাদ্যই হল সাপ। কিন্তু লোকালয়ে এসে কিং কোবরা একটি অজগর সাপকে ধরে খাচ্ছে, এটা খুব বিরল। এটা সহজে দেখা যায় না। উৎসাহিত জনতা যাতে সাপের কাছাকাছি পৌঁছে না যায়, সেটার দিকে নজর রাখা দরকার বন দফতরের। সাপেরও যাতে জনরোষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা দরকার বন দফতরের।’