AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: বাবা বাংলার চাষি, ছেলে ভারতীয় সেনা জওয়ান! ভারত-পাক চরম উত্তেজনার আবহে মনোরঞ্জন যা করলেন, তা বাংলার গর্ব

Jalpaiguri: বর্তমানে ভারত -পাক যুদ্ধ আবহে দেশের সেবায় ভারতীয় সেনার অগ্নিবীরে যোগদান করতে চলেছেন ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি সংলগ্ন পূর্ব সাত ভেণ্ডি এলাকার বাসিন্দা ১৮ বছরের তরুণ মনোরঞ্জন রায়।

Jalpaiguri: বাবা বাংলার চাষি, ছেলে ভারতীয় সেনা জওয়ান! ভারত-পাক চরম উত্তেজনার আবহে মনোরঞ্জন যা করলেন, তা বাংলার গর্ব
মনোরঞ্জন রায় Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 09, 2025 | 5:59 PM

জলপাইগুড়ি: বাবা-দাদা দুজনেরই স্বপ্ন ছিল। কিন্তু নিজেরা সে স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি। পরিবারের চাপে ছোটবয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল মনোরঞ্জনের বাবা। চা চাষি তিনি। নিজের স্বপ্ন প্রথমে বড় ছেলেকে দিয়ে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বড় ছেলেকেও দাঁড়াতে হয়েছিল বাবার পাশেই। কিন্তু স্বপ্ন আরও মজবুত হয়েছিল। কারণ এবার সে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল দু’জোড়া চোখ। পরিবারের ছোট সন্তান যাতে ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে পারে! ১৮ বছরের মনোরঞ্জন সেই স্বপ্ন সত্যি করল। সত্যি তো করই, এমন সময়ে করল, যখন দেশের এক জরুরি অবস্থা। ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ পরিস্থিতি, সেই সময়েই ভারতীয় সেনার অগ্নিবীরে যোগ দিতে বাড়ি থেকে রওনা দিলেন ময়নাগুড়ির মনোরঞ্জন রায়। দুশ্চিন্তার মাঝেও আনন্দে চোখে জল বাবা-দাদার।

বর্তমানে ভারত -পাক যুদ্ধ আবহে দেশের সেবায় ভারতীয় সেনার অগ্নিবীরে যোগদান করতে চলেছেন ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি সংলগ্ন পূর্ব সাত ভেণ্ডি এলাকার বাসিন্দা ১৮ বছরের তরুণ মনোরঞ্জন রায়। ছোট থেকেই মনোরঞ্জনের স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনায় যোগদান করার। আর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে তাঁর। তাঁর কঠোর পরিশ্রমের পর সফলতা এসেছে। মনোরঞ্জনের বাবা পেশায় একজন কৃষক। ক্ষুদ্র চা চাষি। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অগ্নিবীরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। বেঙ্গালুরুতে গিয়ে যোগদান করবেন তিনি। তার এই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিবার। ছোট্ট বাড়িতে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। সকলেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মনোরঞ্জনকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশ সেবার জন্য ছেলেকে সেনার অগ্নিবীরে পাঠাতে পেরে গর্বিত মনোরঞ্জনের পরিবার।

অগ্নিবীর মনোরঞ্জনের বাবা ও দাদা উভয়েই একসময় চেয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ রক্ষার কাজে নিজেদেরকে লাগাতে। কিন্তু পারিবারিক কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। তাই তাঁরা দুজন মিলেই মনোরঞ্জনের মধ্যে ছোট থেকেই সেনাবাহিনীর প্রতি আগ্রহ গড়ে তুলেছিলেন। সেই কথা মাথায় রেখে পড়াশোনার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাজের জন্য নিজেকে সক্ষম করে তোলে মনোরঞ্জন। তিনি বললেন, “আমার বাবা-দাদার স্বপ্ন ছিল। আমি দুমাস বাড়িতে পড়েছিলাম। পরিশ্রম করি। দেশের জন্য কিছু করব, সেটাই চাই।” মনোরঞ্জনের বাবা বাবলু রায় বলেন, “আজ বড় গর্ব হচ্ছে। দেশের জন্য ও কিছু করুক, এটাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা।”