Jalpaiguri: পোস্ট অফিসে গ্রাহকের আসা সব নথি না দিয়ে বছরের পর বছর নিজের বাড়িতেই জমা করতেন পিওন! কারণ জানলে অবাক হবেন…
Jalpaiguri: সম্প্রতি এই অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। এবং প্রাথমিক তদন্তের পর সম্প্রতি ওই পিওনের অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন পোস্ট মাস্টার অফিসে নিয়োগ করা হয়।
জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের কামার ভিটা পোস্ট অফিসের অধীনে রয়েছে বলরাম সাব পোস্ট অফিস। অভিযোগ, ওই গ্রামীণ পোস্ট অফিসে পোস্ট মাস্টার না থাকার কারণে ওই অফিসের পিওন মহম্মদ বজিরুদ্দিন দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই এলাকার কোনও মানুষ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আসা চিঠিপত্র, আঁধার কার্ড,ব্যাঙ্কের কাগজ, প্যান কার্ড,রেশন কার্ড, চাকরির পরীক্ষার এডমিট কার্ড সহ অন্যান্য সরকারি নথি কিছুই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে না দিয়ে বাড়িতে বস্তাবন্দি করে রেখে দিতেন। পাশাপাশি অফিস তিনিই চালাতেন। আর হেড পোস্ট অফিসে রিপোর্ট পাঠিয়ে দিতেন সব ডেলিভারি করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়। এবং প্রাথমিক তদন্তের পর সম্প্রতি ওই পিওনের অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নতুন পোস্ট মাস্টার অফিসে নিয়োগ করা হয়।
এরপর নতুন পোস্ট মাস্টার জয়েন করার পর দেখতে পান বেশ কয়েক বস্তা বোঝাই সরকারি নথি গুলি পোস্ট অফিসের সামনে কেউ বা কারা রেখে দিয়ে চলে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই বলরাম পোস্ট অফিসে এসে আজ ভিড় জমিয়েছে মানুষ। তারা যে যার মতো নিজেদের নথি একদিকে যেমন নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি নতুন পোস্ট মাস্টার আজ নথি গুলি পাঠাবার ব্যবস্থা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামবাসী শঙ্কর প্রসাদ সিংহ, জাকির মহম্মদরা বলেন, “এই পোস্ট অফিসে আগে যেই পিওন ছিলেন, তার কর্তব্যে গাফিলতির কারণে আজ আমরা ভুক্তভোগী। এই গ্রামের মানুষ খুব ভালো তাই একে কিছু করেনি। এখানে ২০২১ সাল থেকে আসা সব নথি পাওয়া যাচ্ছে। আমরা চাই আগামীতে যেন এমন অবস্থা না হয়।”
পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার সত্যব্রত পাল বলেন, “দফতর চায় সব সময় সাধারণ মানুষের সাহায্য করতে। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য এই ধরনের ঘটনা ঘটে। পোস্ট অফিসে জয়েন করার পরেই দেখতে পাই প্রচুর নথি পড়ে রয়েছে। গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন হল দরকারি কাগজপত্র পাচ্ছে না।” সেই অভিযোগে এমডি মজারুদ্দিনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কামারভিটা পোস্ট অফিসের হেড পোস্টমাস্টার স্বপন কুমার বর্মন বলেন, “খুব খারাপ কাজ হয়েছে। পোস্ট অফিস থেকে সাধারণ মানুষের কাগজপত্র বিলি না করে বাড়িতে রেখে দিত। এটা খুব অন্যায়। এই ধরনের বিষয়ে আমার জানা ছিল না। সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।”