জলপাইগুড়ি: পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল। সেই মোতাবেক ওঁত পেতেছিল পুলিশ। গাড়ি ধরে ধরে চলছিল নাকা তল্লাশি। নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়ি যখন এসে দাঁড়াল পুলিশের সামনে, তখনও দুঁদে কর্তারা বুঝতেন পারেননি। একী! গাড়িতে তো বোঝাই ফাঁকা ড্রাম। ‘লিড’ কি তাহলে ভুল ছিল? গাড়ির চালককে তখন প্রশ্ন করছেন আধিকারিকরা। তখনই হঠাৎ করে ফাঁকা ড্রামের ভিতর থেকে লাফিয়ে বেরিয়ে আসে গরু। আর তখনই পর্দাফাঁস। ফাঁকা ড্রাম বোঝাই লরির আড়ালে গরু পাচার করা হচ্ছিল। গোপন খবরে অভিযান চালিয়ে পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে আগে থেকে গরু পাচারের খবর ছিল। সেই অনুযায়ী পুলিশ মোতায়েন ছিল ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে। চলছিল নাকা তল্লাশি। ওই লরিটি বিহার থেকে অসমে দিকে যাচ্ছিল লরিটি। অসমেই গরু পাচার হচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে খবর ছিল।
ফাটা পুকুর টোল প্লাজার কাছে ফাঁদ পাতে পুলিশ। বুধবার সকালে সন্দেহজনক একটি লরিকে দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। আপেক্ষিকভাবে কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না, কারণ, লরি বোঝাই ছিল ফাঁকা ড্রাম। তখনই ফাঁকা ড্রামের থেকে বেরিয়ে আসে গরু। উদ্ধার হয় ১৩টি গরু।
ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গরুগুলিকে অমানবিক ভাবে গাড়িতে ঠেঁসে পাচার করা হচ্ছিল। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সম্পূর্ণ চক্রটিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।