জলপাইগুড়ি: মামাবাড়িতে ডাকাতির প্ল্যান করেছিল। সেই ডাকাতিতে আবার বাধা পেয়ে মামাকে খুনও করেছিল। হামলা চালিয়েছিল মামীর ওপরেই। ঘটনায় অভিযুক্ত ভাগ্নেকে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জাজ রিন্টু শূর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে ধূপগুড়িতে এক ব্যক্তি খুন হন।
ধূপগুড়ির আংড়াভাষার সজনাপাড়া এলাকায় বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন মেহতাব হোসেন নামে ওই ব্যক্তি। রাত ২ টো নাগাদ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলা বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে।
মেহতাবকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী মৌমিতা দাসও। দুই সন্তান প্রাণ ভয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রথমে নিতান্তই ডাকাতিতে বাধা পেয়ে খুনের ঘটনা মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে আফতাব হোসেনের নাম। আফতাব-সহ ৬ জনকে সেই সময় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। এক বছর ধরে আদালতে সেই মামলা চলে। এবার ভাগ্নেকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দিল আদালত।
আইনজীবী বলেন, “আসামী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ধূপগুড়ির ২০২৩ সালের ঘটনা। আহত মৌমিতা দাস অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। রাত ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে ঘটনাটা ঘটেছিল। ৬ জন ডাকাত ঢোকে, চার জন পুরুষ, ২ জন মহিলা। দিল্লি থেকে ওরা আসে। রান্নাঘরের জানালা দিয়ে ঢোকে। ঘরের লাইট জ্বালানো অবস্থায় ছিল।”
স্ত্রী মৌমিতা বলেন, “আমি সেই রাতে একাই একটা ঘরে ঘুমিয়েছিলাম, আমার শরীর খারাপ ছিল বলে। আমার স্বামী দুই ছেলেকে নিয়ে আলাদা শুয়েছিল। রাত দেড়টায় হঠাৎ চোখ খুলে দেখি, আমার ননদের ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমার বর ওর মামা হয়। মামার সঙ্গে কিনা, ও এসব করল। চাকু দিয়ে সমানে মারতে থাকে। বাচ্চাগুলো কাঁদছিল। আমি নিঃশ্বাস বন্ধ করে কিছুক্ষণ থেকে মরার অভিনয় করি। বাচ্চাগুলোকে কোনওভাবে বাঁচাই। আমার স্বামী ঘরের মধ্যেই মারা গিয়েছিল।”