Jalpaiguri: আইনজীবীকেই বেধড়ক ‘মার’, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইলেন হাসপাতালের সামনে! নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jun 26, 2024 | 2:00 PM

Jalpaiguri: সকালে এই খবর পৌঁছয় জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বিপুল রায়ের কাছে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানালে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অর্ককে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ভর্তি করায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এহেন ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন জেলার আইনজীবী মহল।

Jalpaiguri: আইনজীবীকেই বেধড়ক মার, রক্তাক্ত অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে রইলেন হাসপাতালের সামনে! নেপথ্যে ভয়ঙ্কর কারণ
হাসপাতালের বাইরে পড়ে রয়েছেন আইনজীবী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: পেশায় তিনি আইনজীবী। কিন্তু বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর মানিসকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। আচরণেও বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছিল। হাসপাতালের সামনেই ইতঃস্তত ঘুরে বেরাচ্ছিলেন। আর সেখানে থাকা সাধারণ মানুষের তাঁকে দেখে সন্দেহ হয়। ভেবে ফেলেন তিনি চোর। চোর সন্দেহে আইনজীবীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতাল চত্বরেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকলেন তিনি।  অমানবিক ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা সদর হাসপাতালে। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আইনজীবী মহলে।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ও স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত জলপাইগুড়ি মহামায়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জলপাইগুড়ি বার এসোসিয়েশনের সদস্য। গত কয়েকবছর আগে তাঁর বাবা এবং মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন।

তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাতে তিনি চিকিৎসা করাতে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে যান। সেই সময় হাসপাতাল চত্বরে থাকা কিছু মানুষ তাকে মারধর করে। টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় রাতভর জখম শরীরে হাসপাতাল চত্বরে পড়ে ছিলেন।

সকালে এই খবর পৌঁছয় জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বিপুল রায়ের কাছে। বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানালে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে অর্ককে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ভর্তি করায়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। এহেন ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন জেলার আইনজীবী মহল।

বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক বিপুল রায় বলেন অত্যন্ত অমানবিক ঘটনা। কেনও এইভাবে একজন আইনজীবীকে মারধর করা হল, তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। জলপাইগুড়ি বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান চিকিৎসক প্রদীপ কুমার বর্মা জানিয়েছেন, আইনজীবীর চিকিৎসা চলছে। ঘটনার তদন্ত করার জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন ধরেই বাংলার একাধিক প্রান্তে বাচ্চা চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের অভিযোগ উঠছিল।

Next Article