Jalpaiguri News: বানচাল INTTUC-র বৈঠক, টোটো রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি
Jalpaiguri Toto Drivers Clash: এই টোটোর রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি ফি নির্ধারণ করেছে রাজ্য সরকার। পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপর ৬ মাস পর থেকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। এই গোটা ফি কাঠামো, বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে টোটো চালকদের মনে।

জলপাইগুড়ি: রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে প্রতিবাদ করায় টোটো চালককে ধরে বেধড়ক মার তৃণমূল নেতার। দাদাগিরির অভিযোগ তুলে শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হলেন টোটো চালকদের একাংশ। বিশৃঙ্খলার জেরে বানচাল হয়ে গেল রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বৈঠক। চলতি মাসেই ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে টোটো চালকদের রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। তারা জানিয়েছে, প্রতিটি টোটোর হবে নম্বর প্লেট, যা ছাড়া কোনও মতেই রাস্তায় গাড়ি নামানো যাবে না।
এই টোটোর রেজিস্ট্রেশনের জন্য একটি ফি নির্ধারণ করেছে রাজ্য সরকার। পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রাথমিকভাবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ১ হাজার টাকা দিতে হবে। তারপর ৬ মাস পর থেকে প্রতি মাসে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। এই গোটা ফি কাঠামো, বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে টোটো চালকদের মনে। রবিবার বিকালে সেই নিয়েই জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়িতে বসেছিল বৈঠক। ময়নাগুড়ি ব্লকের ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার INTTUC বা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত ২০টি ইউনিটের টোটো চালকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু ক্ষণিকের ব্যবধানেই বৈঠক হল বানচাল। লেগে গেল বিবাদ।
কেন হাতের বাইরে বেরল পরিস্থিতি?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভার মাঝেই তৈরি হয় উত্তেজনা পরিস্থিতি। এদিন এক টোটো চালক বলেন, ‘গোটা ময়নাগুড়ি ব্লক নিয়ে সভা চলছিল। রেজিস্ট্রেশন ফি নিয়ে প্রতিবাদ করায় হঠাৎ করেই এক তৃণমূল নেতা মারমুখী হয়ে ওঠে। আক্রমণ করে। আমাদের সাফ কথা, এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এর বিরুদ্ধে আবার প্রতিবাদ করায় আমাদের বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।’ এই ঘটনার পর বানচাল হয়ে যায় সেদিনের বৈঠক। তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। একাংশের অভিযোগ, সভাস্থলে এমন উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা হয়নি।
অবশ্য, তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা টোটো চালকদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র জেলা সভাপতি তপন দে-র। এদিন তিনি বলেন, ‘রোধী দলের কিছু টোটো চালক বৈঠকে প্রবেশ করে ঝামেলা পাকায়। ময়নাগুড়ির তৃণমূল কাউন্সিলর অমিতাভ চক্রবর্তীর গায়ে হাত দেয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয় আমাদের ইউনিয়নের সদস্যরা। সামান্য বচসা হয়। বৈঠক হয়েছে। যে সব প্রস্তাব এসেছে সেগুলি আমরা রাজ্য কমিটির কাছে পাঠাবো।’
