Jalpesh Mandir: জল্পেশ মন্দিরে উপচে পড়ল পুণ্যার্থীর ঢল, হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই হল ব্রত পালন

Nileswar Sanyal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 09, 2024 | 7:15 AM

Jalpaiguri: শিবরাত্রি উপলক্ষে জল্পেশ মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সেন্সর বোর্ড, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্দিরে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক গেট। হাইকোর্টের নির্দেশে বসানো হয়েছে এই অত্যাধুনিক গেট।

Jalpesh Mandir: জল্পেশ মন্দিরে উপচে পড়ল পুণ্যার্থীর ঢল, হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই হল ব্রত পালন
জল্পেশ মন্দিরে পুণ্যার্থীর ঢল
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

 জলপাইগুড়ি: চতুর্দশী তিথি শুরু হতেই ভিড় উপচে পড়ল জল্পেশ মন্দিরে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মন্দিরে ঢুকে অনাদি শিবলিঙ্গে জল ঢালেন পুণ্যার্থীরা। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের জল্পেশ এলাকায় জর্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দির। উত্তরপূর্ব ভারতের এটি একটি বিশিষ্ট শিব মন্দির।কথিত আছে কালিকা পুরাণ  স্কন্দ পুরাণ খ্যাত এই মন্দির। উত্তরবঙ্গ সহ নিম্ন অসমের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে প্রাচীন শৈব তীর্থক্ষেত্র জল্পেশ মন্দির। শ্রাবণ ও ফাল্গুন মাসে এই মন্দিরে থাকা শিবলিঙ্গে জল ঢালতে আসে কয়েক লক্ষ শিব ভক্ত।

কথিত আছে, আজ থেকে অন্তত হাজার বছর আগে প্রাগজ্যোতিষপুর এর রাজা জল্প বা জল্পেশ এই মন্দির স্থাপন করেন। মন্দিরে রয়েছে সবজে সাদা রঙের শিব লিঙ্গ। এই শিবলিঙ্গকে অনাদি লিঙ্গ বলা হয়।কেউ বলেন কালা পাহারের আক্রমণে কেউ আবার বলেন প্রাকৃতিক কারণে এই মন্দির একবার ধ্বংস হয়।এরপর কোচবিহারের মহারাজা প্রাননারায়ণ রায় এর নির্মান কাজ শুরু করেন। ১৯২৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করেন কোচবিহারের রাজা মোদ নারায়ণ। ১২৪ ফুট দীর্ঘ , ১২০ ফুট প্রসস্ত এবং ১২৭ ফুট উচ্চতা এই মন্দিরের।

শিবরাত্রি উপলক্ষে শুরু হওয়া  মেলা চলবে টানা দশ দিন। মেলার পাশাপাশি থাকবে নানান রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরিচালনার দায়িত্বে জলপাইগুড়ি জেলা তথ্য সংস্কৃতি দফতর।

শিবরাত্রি উপলক্ষে জল্পেশ মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য ডিজিটাল সেন্সর বোর্ড, সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্দিরে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক গেট। হাইকোর্টের নির্দেশে বসানো হয়েছে এই অত্যাধুনিক গেট। যেই গেট দিয়ে ৫০ জন প্রবেশ করলেই অটোমেটিক গেট বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এক সঙ্গে প্রচুর ভক্ত গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে পারবেন না। ফলে পদপিষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও কম।

মন্দিরের পাশাপাশি মেলায় তিনটি ওয়াচ টাওয়ার সহ সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার এই জল্পেশ মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বুলু চিক বড়াইক, উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন, জেলাশাসক শামা পারভিন, জেলা পুলিশ সুপার খাণ্ডবহালে উমেশ গণপত সহ অনেকে।

Next Article