জলপাইগুড়ি: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্যে নেমে আসে বাম ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর জয় নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছিল বাম-কং শিবিরে। আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাগরদিঘিকেই মডেল হিসাবে দেখানোর কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই সব ওলটপালট হয়ে গেল। রাজ্যের এক মাত্র কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে দল পরিবর্তন করলেন। সোমবারই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। এর জেরে বিধানসভায় ফের শূন্যে নেমে গেল বাম-কং। বাইরন বিশ্বাসের দলত্যাগ নিয়ে সোমবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। কংগ্রেসের টিকিটে জেতার তিন মাসের মধ্যে তৃণমূলে যোগ দেওয়া যে তাঁকে হতাশ করেছে, তা ফুটে উঠেছে বিমানের কথাতেই। সোমবার জলপাইগুড়িতে এসে তিনি বলেছেন, “বুঝিনি এ রকম হবে!”
সাগরদিঘি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বাইরন সোমবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। সাগরদিঘির বিধায়কের এই দল পরিবর্তনের বিষয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, “বুঝিনি এ রকম হবে। আমাকে টেলিফোন করে কেউ জানিয়েছেন। তবে যা হল, তা ভাল হল না। বিধায়ক হওয়ার পরও উনার মধ্যে জড়তার ভাব ছিল। এ জন্যই হয়তো ছিল। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।”
তৃণমূলে যোগদানে পর বাইরন অভিযোগ করেছেন, তিন মাসে তিনি কোনও কাজ করতে পারেননি। এ ব্যাপারে বিমানবাবু বলেছেন, “ওকে তো বিধানসভাতেও খুব একটা যেতে দেখিনি। শপথ নিয়েছিল। তিন মাসের মধ্যে কী কাজ করবে! যা হল ভাল না।” তবে বাইরন তৃণমূলে চলে যাওয়ায় তাঁদের জোট ভেঙে গেল এ রকম মনে করেন না বর্ষীয়ান এই বাম নেতা। তিনি সাফ জানিয়েছেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেলেই সব রাজনৈতিক বিশ্লেষণের পরিবর্তন হয়ে যায় না।