জলপাইগুড়ি: খোলা আকাশের নীচে খাওয়া হচ্ছে মিড ডে মিল। পাশে ঘোরাফেরা করছে গবাদি পশু। দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠলেন বিডিও। গাড়ি ঘুরিয়ে সোজা চলে এলেন স্কুলে। বিডিওকে কাছে পেয়ে ঘিরে ধরলেন গ্রামের মানুষ। পড়াশোনা, মিড ডে মিল সহ স্কুলের নানান অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করলেন।
অতি সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক পদে যোগ দিয়েছেন প্রশান্ত বর্মন। কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে একের পর এক ওয়ার্ক কালচার ফিরিয়ে আনা, ফুড সেফটি সহ একের পর এক বিষয়ে অভিযান চালাচ্ছেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি এলাকা চেনার জন্য রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি ও পানিকৌড়ি অঞ্চলের বেশকিছু জায়গায় বেরিয়েছিলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই তিনি লক্ষ্য করেন বলদাপুকুর নেতাজী সুভাষ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা খোলা আকাশের নীচে মাঠে বসে মিড ডে মিল খাচ্ছে। পাশেই ঘোরাফেরা করছে গবাদি পশু এবং কুকুর। এই অব্যবস্থা দেখে স্কুলে ঢুকে যান তিনি। চলে যান রান্না ঘরে। সব দেখে অসন্তোষও প্রকাশ করেন।
বিডিও স্কুলে আসতেই তাকে ঘিরে ধরে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন অভিভাবক ও পড়ুয়ারা। অভিযোগ শুনে নিজে পড়ুয়াদের সঙ্গে মাটিতে বসে মিড ডে মিল খেয়ে দেখেন। তারপরই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেন। মফিজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা বলেন স্কুলে পড়াশোনা ঠিকমতো হয় না। শিক্ষকেরা সময় মতো আসেন না। আজ বিডিও সাহেব এসেছেন। তাঁকে আমরা সব জানালাম। উনি আমাদের আশ্বস্ত করলেন। এবার দেখা যাক কতদূর কাজ হয়।
বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, কাজে বেরিয়ে হঠাৎই চোখে পড়ে বাচ্চারা মাঠে বসে মিড ডে মিল খাচ্ছে। এটা খুবই অমানবিক ব্যাপার।তাই আমি খাবারের গুণগত মান যাচাই করতে নিজেই খেয়ে দেখলাম। এছাড়া অভিভাবক ও পড়ুয়াদের কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ পেলাম। এই বিষয়ে শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। ছাত্র ও অভিভাবকেরা যেই অভিযোগ করলেন সেগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে জানান তিনি।