জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গে যেন ফিরে এসেছে ১৯৬৮ সালের বন্যার ছবি। ওই বছর ৪ অক্টোবর এক রাতের তুমুল বৃষ্টিতে রুদ্রমূর্তি ধরেছিল তিস্তা। তিস্তার রোষে ছারখার হয়ে গিয়েছিল উত্তরবঙ্গ। হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছিল দু’শোর বেশি মানুষের। সাড়ে পাঁচ দশক পরে ফের যেন একই ছবি উত্তরে। সিকিমে বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ি তিস্তা নদীতে এখন মৃতদেহের ছড়াছড়ি। জলস্তর কমতেই একের পর এক দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। জেলার তিস্তা পারে থাকা মাল থানা ,ময়নাগুড়ি থানা এবং সদর ব্লকের কোতোয়ালি থানা এলাকা মিলিয়ে মোট ১৮ টি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এদিন উদ্ধারকাজে হাত লাগায় NDRF, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশ কর্মীরা। সূত্রের খবর, দেহগুলিকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলির মধ্যে সেনা কর্মীদের দেহের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের দেহ রয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ১৮টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের নাম পরিচয় জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৪ জন সেনাবাহিনীর এবং ২ জন আমজনতা। বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আমরা দেহ মর্গে পাঠিয়েছি। প্রসঙ্গত, এদিন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই সেনার মৃতদেহ উদ্ধার। সেগুলি দুটি উদ্ধার করে কুচলিবাড়ি থানার পুলিশকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফকে।