জলপাইগুড়ির হোমে কিশোরের রহস্যমৃত্যুতে নয়া মোড়, তদন্তকারী অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ CBI-র
CBI - এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই।
জলপাইগুড়ি : কোরক হোম কান্ডে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানার আইসিকে একদিন আগেই তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। এবার কোচবিহারের কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসারকে জলপাইগুড়িতে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলো সিবিআই। একের পর এক পুলিশ আধিকারিক তলবে চাঞ্চল্য দুই জেলাতেই। সূত্রের খবর, বুধবার জলপাইগুড়ি জুভেনাইল কোরক হোমে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কথা বলেন হোমের সুপার সহ বেশ কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে।
হোমের কয়েকজন বাংলাদেশী আবাসিক কিশোরের সঙ্গে মৃত কিশোরের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তাঁরা ওই কিশোরকে মারধর করত বলে সিবিআইকে সরাসরি অভিযোগ করেছিলেন ওই কিশোরের পরিবার। সেই অভিযোগের তদন্তে হোমের কয়েকজন বাংলাদেশী কিশোরকেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলে খবর। কোচবিহার জেলার টাপুরহাট এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোর মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে জলপাইগুড়ি জুভেনাইল কোরক হোমে ছিল। গত ১৫ ডিসেম্বর ওই কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদিকে তার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ওই কিশোরের জামিনের আবেদন জানিয়েছিল পরিবার। তার মাঝেই এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার কোচবিহারে গিয়ে মৃত কিশোরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানার তদন্তকারী অফিসারকে জলপাইগুড়িতে ডেকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই কিশোরের কাছ থেকে কোথায়, কীভাবে কত পরিমান মাদক উদ্ধার হয়েছে তাও জানতে চান তাঁরা। এমনটাই খবর সূত্রের। একইসঙ্গে জুভেনাইল কোরক হোমে গিয়ে দীর্ঘক্ষন আধিকারিক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। কোন ঘরে ওই কিশোর থাকত। বাকি আবাসিক কিশোরদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই আধিকারিকেরা।