Jalpaiguri: কিশোরের মৃত্যুতে বাড়ছে আতঙ্ক, উদ্বেগের মধ্যেই সেই সন্ন্যাসীকাটা গ্রামেই নামল শোকের ছায়া
Jalpaiguri: মৃতের বাবা আজগর আলী বলছেন, সোমবার থেকেই ছেলের জ্বর আসে, চোখ হলদে হতে শুরু করে। প্রথমে তাকে কালিতলা স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয় রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

জলপাইগুড়ি: ল্যাপ্টোস্পাইরা-হেপাটাইটিস আতঙ্কের মধ্যে জ্বর-জন্ডিসে আক্রান্ত কিশোরের মৃত্যু। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন পরিবারের সদস্যরা। আব্দুল রেজ্জাক আলী নামে ১৭ বছরের ওই কিশোরের বাড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের গিরানগছ গ্রামে। সন্ন্যাসীকাটা হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
পরিবারের দাবি রেজ্জাকের জন্ডিসের উপসর্গ ছিল। তাকে গত মঙ্গলবার রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই চিকিৎসা চলছিল। বিকালে দেহ গ্রামে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়-স্বজনরা। দলে দলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন আজগর আলীর বাড়িতে।
মৃতের বাবা আজগর আলী বলছেন, সোমবার থেকেই ছেলের জ্বর আসে, চোখ হলদে হতে শুরু করে। প্রথমে তাকে কালিতলা স্বাস্থ্য শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ভর্তি করা হয় রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে বুধবার রাতে তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে তার মৃত্যু হয়। বাবার স্পষ্ট অভিযোগ, “আমার ছেলের কি চিকিৎসা হয়েছে তার কোনও রিপোর্ট আমাকে দেয়নি।”
রাজগঞ্জের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার রাহুল রায় বলেন, “মঙ্গলবার এখানে আসার পর ওর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। তবে ওর লেপ্টোস্পাইরা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যেহেতু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি ছিল তাই তার মৃত্যুর কারণ কী তা জানতে আমরা রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছি।”
এদিকে সম্প্রতি সন্ন্যাসীকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকর মারি গ্রাম-সহ ৮টি গ্রামে ইঁদুর জ্বর বা ল্যাপ্টোস্পাইরা ও হেপাটাইটিস সংক্রমণ ছড়িয়েছে। কপালে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরেরও।
