Narendra Modi: জি-২০ বৈঠকের জন্য এই কারণেই বেছে নেওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গ, শোনালেন মোদী
Narendra Modi: আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। তার আগে আজ উত্তরের প্রার্থীদের সমর্থনে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদী। ধূপগুড়ির সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছতেই চারদিক থেকে 'মোদী... মোদী' ধ্বনি উঠতে শুরু করে।

নরেন্দ্র মোদীImage Credit: Facebook
ধূপগুড়ি: ভোটে গরম বাংলায় রবিবাসরীয় প্রচারে ফের উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট রয়েছে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। তার আগে আজ উত্তরের প্রার্থীদের সমর্থনে ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী মোদী। ধূপগুড়ির সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছতেই চারদিক থেকে ‘মোদী… মোদী’ ধ্বনি উঠতে শুরু করে। মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বাংলার পদ্ম শিবিরের তাবড় রথী-মহারথীরা।
ধূপগুড়িতে মোদীর ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি একনজরে –
- কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মিনি টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে। আজ বক্তব্যের শুরুতেই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মোদী। বললেন, ‘ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’
- প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ গোটা দেশে, গোটা বাংলায় একটাই কথা শোনা যাচ্ছে। গোটা বাংলা বলছে, আরও একবার… (ভিড় থেকে সমস্বরে রব উঠে এল – মোদী সরকার)। এই ভোট শুধু একজন সাংসদ বেছে নেওয়ার ভোট নয়। এই নির্বাচন শক্তিশালী ভারতের জন্য একটি শক্তিশালী সরকার গঠনের ভোট। কেন্দ্রের সরকার যত মজবুত হবে, ভারতের উপর বিশ্বের ভরসা তত বাড়বে। তাহলেই বেশি বেশি বিনিয়োগ আসবে, কারখানা তৈরি হবে, বিদেশি পর্যটকরা আসবে।’
- ‘বিজেপি সরকার জি-২০-র বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখানে চওড়া রাস্তা বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্যও জোরকদমে কাজ চলছে। এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।’
- ‘সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার বিশ্বাস জিতে, সবার উন্নয়ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। এটাই তো বিকশিত ভারতের সংকল্প। এই সংকল্পের জন্য আজ প্রত্যেক ভারতীয় সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য আমার প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য সঁপে দিয়েছি। সেই জন্য আমি সর্বক্ষণ ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’
- ‘গত দশ বছরে মোদী যে বিকাশ করেছে, সেটা ছিল শুধু ট্রেলার। এবার আমাদের দেশকে আরও অনেক আগে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ বানাতে হবে।’
- ‘দরিদ্রদের জন্য কেন্দ্রের প্রকল্পের উপর এখানকার তৃণমূল সরকার ব্রেক কষে দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার গরিবদের পাকা ঘরের জন্য প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে। আমরা বলেছিল, টাকা যেন সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যায়। কিন্তু তৃণমূল বলছে, কেন্দ্রের টাকা আগে তাদের কাছে যেতে হবে। আপনারাই বলুন, জনতার টাকা আমি তৃণমূলকে কীভাবে লুঠ করতে দেব!’
- তৃণমূল সরকারকে ‘কৃষক বিরোধী’ বলেও খোঁচা দিলেন মোদী। বললেন, ‘বিদেশে যে ইউরিয়ার বস্তার দাম ৩০০০ টাকা, বিজেপি সরকার তা কৃষকদের ৩০০ টাকারও কম দামে দিচ্ছে। কিন্তু বাংলায় সেটাতেও দুর্নীতি করা হচ্ছে। এখানকার চা বাগানের কথা কারও অজানা নয়। দেশের মধ্যে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি বাংলার চা বাগানগুলিতে। অনেক চা বাগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’
- প্রধানমন্ত্রী মোদী বললেন, ‘এইসব কারণে এবারের ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার। উচিত শিক্ষা দেওয়া দরকার। প্রতিটি বুথে এবার তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে।’
- এর পাশাপাশি বাংলা থেকে ইডির বাজেয়াপ্ত করা ৩০০০ কোটি টাকা ফেরানোর বিষয়েও আশ্বাসবাণী শোনালেন মোদী। জানালেন তিনি এই বিষয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের থেকে।
- মোদী বললেন, ‘তৃণমূল, বাম ও কংগ্রেস – তিন দলই একে অন্যের সঙ্গী। তিনটি দলই একে অন্যের দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচানোর জন্য ইন্ডি জোট বানিয়েছে। আমি বলি, দুর্নীতি সরাও, ওরা বলে দুর্নীতিগ্রস্তদের বাঁচাও। এরা যতই ষড়যন্ত্র করুক, আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি ৪ জুনের পর দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্তে আরও গতি আসবে।’
