জলপাইগুড়ি: অবশেষে জামিন পেলেন যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। বুধবার জলপাইগুড়ির সিজেএম আদালত তাঁকে মোট ২০ হাজার টাকার বন্ডে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেছে। এ দিন আদালতে নিজেই নিজের জামিনের হয়ে সওয়াল করেন সৈকত। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন সিজেএম আদালতের বিচারক রতন কুমার গুপ্তা।
এপ্রিল মাসে জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী অপর্না ভট্টাচার্য আত্মহত্যা করেন। তাঁদের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সৈকতের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় গত ১৮ অক্টোবর সৈকত চট্টোপাধ্যায়কে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেলে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই রাতেই তাঁকে জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেল থেকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে বুধবার সৈকতকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। সৈকত নিজেও পেশায় আইনজীবী। এদিন নিজের হয়ে নিজেই সওয়াল করেন তিনি। তাতেই মিলল জামিন। এদিন আদালত চত্বরে দিনভর ছিল সৈকত অনুগামীদের ভিড়। উল্টে এদিন বিজেপির তরফে আদালতে তেমনভাবে কাউকে দেখা যায়নি।
সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় ব্যানার্জী জানান, বিচারক অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন। কুড়ি হাজার টাকা বন্ড জমা রাখার পাশাপাশি মামলা চলাকালীন তদন্তকারী অফিসারকে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করতে হবে, এই মর্মে আজ জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
জামিনে মুক্ত হয়ে সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “এই জয় রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে আইনের জয়। আমি চিরকাল রাজনৈতিক রং বিচার না করে মানুষের পাশে থেকেছি। করোনার সময় আমি শহর ছেড়ে পালাইনি। আমি মানুষের পাশে ছিলাম। আজ জামিনে মুক্ত হয়ে আমি ফের মানুষের কাজ করব।”
তৃনমূল নেতার জামিন প্রসঙ্গে টিভি৯ বাংলার তরফে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জী-সহ একাধিক বিজেপি নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু তাঁদের ফোন বেজে গেলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রতিক্রিয়া পেলে এই প্রতিবেদনে তা আপডেট করা হবে।