শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার তদন্তে আজবকাণ্ড! ১৫ বছর আগে অন্যত্র চলে যাওয়া মহারাজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অক্ষয়ানন্দ মহারাজের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন প্রদীপ রায়। অক্ষয়ানন্দ মহারাজ ১৫ বছর আগেই জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি এখন প্রয়াগরাজে থাকেন। তাহলে তাঁর নামে কেন এফআইআর? প্রশ্ন উঠছে আরও। পুরনো নথি না ঘেঁটেই কীভাবে এফআইআর নিল পুলিশ?
শিলিগুড়ির ‘সেবক হাউস’ নামে একটি বাড়িতে মিশনের কয়েক জন সন্ন্যাসী থাকেন। ১৯ মে মধ্যরাতে সেখানেই হামলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ জনা পঁত্রিশেক দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মিশনের ঘরে ঢোকে। সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয়। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
২০ মে বিকালে মিশনের তরফ থেকে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই এফআইআর কপিতে প্রদীপ রায় নামে এক ব্যক্তির নাম ছিল। তার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ রায় থানায় যান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেননি। উল্টে প্রদীপ পাল্টা মিশনের মহারাজের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে রাখার অভিযোগ দায়ের করেন। ঠিকানা দেন জলপাইগুড়ি। মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়।
প্রদীপ রায় যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, স্বামী অক্ষয়ানন্দ মহারাজ ১৫ বছর আগে শিলিগুড়ি মিশনের দায়িত্বে ছিলেন। এখন তিনি প্রয়াগরাজে থাকেন। সেই অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে কিনা, তা বিচার না করেই পুলিশ মিশনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল। এমনকি জামিন অযোগ্য ধারাও দেওয়া হল।
উল্লেখ্য, মিশনে হামলার ঘটনায় এখনও মূল অভিযুক্ত পলাতক। ঘটনাকে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা তিনি সমর্থন করেন না। যদি এই ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত থাকেন, তাঁকে খুঁজে বার করা হলে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।