TMC: প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ, প্রভাবশালী শাসকনেতার বিরুদ্ধে বড় নির্দেশ বিচারপতির
TMC: ওই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। এরপর আজ ফের মামলা ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।

জলপাইগুড়ি: প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশকে ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। প্রাথমিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রথমে ৫ লক্ষ টাকা নেওয়া এবং পরে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে কোচবিহার জেলার দিনহাটার এক প্রভাবশালী শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে।
ওই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। এরপর আজ ফের মামলা ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে।
মামলা শোনার পর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশ দেন নির্যাতিতার পুলিশ প্রোটেকশন বহাল থাকবে। পাশাপাশি এই মামলায় পুলিশকে ৩০ দিনের মধ্যে চার্জশিট পেশ করতে হবে। নির্যাতিতার হয়ে আজও মামলায় সাওয়াল করেন আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইনজীবী সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ইন্টারভিউয়ের নাম করে ধর্ষণ করা হয়। পরে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আবার তার ওপর চাপ তৈরি করা হয়। মারধর করা হয়। পরবর্তীকালে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় আমার মক্কেলকে। আমার মক্কেল দুটো এফআইআর করা হয়। উল্টে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়। যিনি অভিযুক্ত ব্যক্তি তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্যাতিতাতে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়। আজকে বিচারপতি নির্দেশ দেন, আমরা যে দ্বিতীয় মামলা করেছিলাম, তার চার্জশিট ৩০ দিনের মধ্যে ফাইল করতে হবে। “
