Jalpaiguri: ‘তোলাবাজির’ বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতেই বৃদ্ধের বাড়ির সামনে ধরনায় TMC নেতা

Nileswar Sanyal | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Dec 21, 2024 | 11:10 PM

Jalpaiguri: পাপন চাকলাদার বলেন, "মিথ্যা অভিযোগ। আমি এই পরিবারের কাছ থেকে টাকা পাই। কারণ এরা বাড়ি তৈরি করার সময় আমাদের কাছ থেকে যাবতীয় নির্মান সামগ্রী নিয়েছিল। আমি সেই টাকা নিয়েছি। এরা থানায় অভিযোগ করে আমার ও পরিবারের সম্মান হানি করেছে।"

Jalpaiguri: তোলাবাজির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতেই বৃদ্ধের বাড়ির সামনে ধরনায় TMC নেতা
জলপাইগুড়িতে বৃদ্ধের বাড়ির সামনে ধরনায় তৃণমূল নেতা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: হুমকি দিয়ে ২৪ লক্ষ টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগ। এরপরও থেমে যাননি তৃণমূল নেতা। আরও ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে ফের চাপ দেওয়ার অভিযোগ এক বৃদ্ধকে। লাগাতার চাপ সহ্য করতে না পেরে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের বৃদ্ধের। অভিযোগ প্রত্যাহার করতে হবে এই ফের বারবার হুমকি তৃণমূল নেতার। ‘নাছোড়বান্দা’ বৃদ্ধ অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় পরিবার নিয়ে বৃদ্ধের বাড়ির সামনে অবস্থানে বসলেন যুব তৃণমূল নেতা।

কী ঘটেছে?

কয়েক বছর আগে ৩১ নং জাতীয় সড়কে ফোর লেন তৈরিতে জমি দিয়ে ৫৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন ময়নাগুড়ি বার্নিশ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা প্রফুল্ল সরকার। সেই খবর কানে যায় যুব তৃণমূল নেতা পাপন চাকলাদারের। অভিযোগ, এরপর থেকে বৃদ্ধকে শুরু হয় চমক-ধমক। টাকা না দিলে মেয়ে, জামাই সহ সকলকে মেরে ফেলার হুমকি। এরপর প্রাণভয়ে বৃদ্ধ তৃণমূল নেতার পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের অ্যাকাউন্টে দফায় দফায় মোট ২৪ লক্ষ টাকা দেন। অভিযোগ, সম্প্রতি আরও ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। এরপর প্রফুল্ল সরকার ময়নাগুড়ি থানার দারস্থ হন বৃদ্ধ। সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে প্রফুল্ল সরকারের বাড়ির সামনে পরিবার নিয়ে ধরনায় বসেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাপন বাবু।

এ প্রসঙ্গে প্রফুল্ল সরকারের মেয়ে সুপ্রিয়া সরকার বলেন, “কয়েক বছর আগে ফোর লেনের কাজের সময় আমাদের জমি অধিকগ্রহণ হয়েছিল। এরপর আমরা ৫৯ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম। সেই টাকা পাওয়ার পর পাপন চাকলাদার আমার বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন  অ্যাকাউন্টে ১৮ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। তখন সে জানিয়েছিল এই টাকা সে ফিরিয়ে দেবে। পরবর্তীতে আরও ছয় লক্ষ টাকা নেয়। ও বলল এই টাকা সুদ সহ ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু এখন আমাদের টাকার দরকার হয়। টাকা চাইলে দিতে অস্বীকার করছে। উপরন্তু বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে থানায় অভিযোগ করেছি।”

পাপন চাকলাদার বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ। আমি এই পরিবারের কাছ থেকে টাকা পাই। কারণ এরা বাড়ি তৈরি করার সময় আমাদের কাছ থেকে যাবতীয় নির্মান সামগ্রী নিয়েছিল। আমি সেই টাকা নিয়েছি। এরা থানায় অভিযোগ করে আমার ও পরিবারের সম্মান হানি করেছে। যেহেতু আমি তৃণমূলের একটি পদে রয়েছি সেই কারণে আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই দুর্নাম দেওয়া হচ্ছে।”

তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, “থানায় অভিযোগ হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু হুমকি দিল আর এত বিপুল পরিমাণ টাকা উনি দিয়েও দিল। এটা আমার ঠিক বোধগম্য হচ্ছে না”

 

Next Article