AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সরকারি জায়গা দখল করে তৃণমূল বিধায়কের অফিস! কংগ্রেস নেতার অভিযোগে চাঞ্চল্য

TMC MLA: "বহু বছর ধরে আমরা জেনে এসেছি জায়গাটি ডাকবাংলো জেলা পরিষদের জায়গা। এই জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করবার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল।''

সরকারি জায়গা দখল করে তৃণমূল বিধায়কের অফিস! কংগ্রেস নেতার অভিযোগে চাঞ্চল্য
নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 5:12 PM
Share

জলপাইগুড়ি: আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার পর এবার সরকারি জমি দখল করার পাল্টা অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে। সরকারি জমি দখল করে জনসংযোগ কার্যালয় তৈরি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়। এক কংগ্রেস নেতার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল রাজগঞ্জ ব্লকে। যা নিয়ে কার্যত অস্বস্তিতে ঘাসুল শিবির। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলেন জেলা তৃণমূল সভাধিপতি।

সরকারি জমি দখল করে রাজগঞ্জের সুখানী অঞ্চলে তৈরি হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের জনসংযোগ কার্যালয়। এমনই অভিযোগ করেছেন কংগ্রেসের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত নাগ।

রবিবারই রাজগঞ্জ ব্লকের সুখানি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত রাজগঞ্জ বাজারে একটি জনসংযোগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন খগেশ্বর। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় মানুষের কাজের সুবিধার জন্য বিধায়ক মাসে তিনদিন করে ওই কার্যালয়ে বসবেন। অন্যান্য দিনে পরিষেবা দেবেন দলীয় কর্মীরা। কিন্তু ওই কার্যালয়ের জমি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

কংগ্রেসের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত নাগের কথায়, “বহু বছর ধরে আমরা জেনে এসেছি জায়গাটি ডাকবাংলো জেলা পরিষদের জায়গা। এই জায়গায় মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করবার জন্য ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল মহেন্দ্র কুমার রায় সাংসদ থাকাকালীন। কিন্তু কোনও কারণে তা আর করা হয়নি। বর্তমান শাসকদল সেই জায়গাটি দখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরি করেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়। তাঁর দাবি, জায়গাটি জেলা পরিষদের নয়। পিডাব্লিউডি-রও নয়। এই জায়গাটি বেসরকারি। জেলা পরিষদ যদি জানায় তাদের জায়গা, তবে ভেঙে দেওয়া হবে কার্যালয়।

জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মন টেলিফোনে জানান, “গতকাল বিষয়টি আমার কানে এসেছে। ওই এলাকায় প্রচুর জমি জেলা পরিষদের রয়েছে। তবে ওই জমিটি কার তা ক্ষতিয়ে দেখবে জেলাপরিষদ।”

সরকারি জমি দখল করে ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের চামুর্চি এলাকায় অবৈধ ভাবে মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ করছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। এমন অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। এবার একই অভিযোগ ব্যুমেরাং হয়ে ফিরল তাদের দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেও। আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ‘জমি মাফিয়া’! জন বার্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের

COVID third Wave