জলপাইগুড়ি: করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কিছুটা স্বস্তির খবর শোনালো স্বাস্থ্য দফতর। জলপাইগুড়িতে কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে ভিআরডএল ল্যাবরেটরি। পরিকাঠামো পরিদর্শন করে এলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দল। এই ল্যাবরেটরি শুরু হলে অনেক দ্রুত করোনা পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ করা হয় সোয়াব টেস্টের মাধ্যমে। এই টেস্ট অনেকটাই নির্ভুল হয় RTPCR পরীক্ষায়। এতদিন পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার সমস্ত সোয়াব যেত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভিআরডিএল ল্যাবে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর চিকিৎসা শুরু হত। ফলে রিপোর্ট আসতে সময় লাগত অনেক।
যেহেতু উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবরেটরিতে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং সহ অন্যান্য জেলার লালারসের নমুনা আসে। তাই স্বাভাবিক ভাবে এই ল্যাবের ওপর চাপ বাড়ছিল। আর তাই রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ার কারণে চিকিৎসা শুরু হতেও দেরি হচ্ছিল।
গত বছরের শেষের দিকে এই ল্যাবরেটরিটি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো অনেকটা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো স্বাস্থ্য দফতর। করোনা পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হওয়ায় এই ল্যাব চালুর কাজে ভাটা পড়ে। কিন্তু এবারে ফের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেওয়ায় নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান উৎপল বিশ্বাসের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের তিন সদস্যের একটি দল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এসে নির্দিষ্ট পরিকাঠামো পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করে।
অধ্যাপক উৎপল বিশ্বাস বলেন, এই ধরনের ল্যাবরেটরি তৈরির উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। শুধু লজিস্টিক সাপোর্ট দিলেই এখানে কাজ শুরু করা যাবে বলে জানান তিনি।
ঘটনায় করোনা বিষয়ক উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি ডা. সুশান্ত রায় বলেন, ‘জলপাইগুড়ি জেলা পতঙ্গ বাহিত রোগের জেলা। এখানে এই ধরনের ল্যাব দ্রুত রোগ নির্নয়ের ক্ষেত্রে খুব কাজে আসবে। এই ল্যাবের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত কোভিড ঠেকাতে RTPCR ল্যাব শুরু হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ দল পরিকাঠামো দেখে গেলেন। ওনারা যে ভাবে বলে গেলেন সে ভাবে আমরা পরিকাঠামো বানাব।’
অপরদিকে জলপাইগুড়ি শহরে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ও এলাকা জীবানুমুক্ত করার কাজ শুরু করেছে পুরসভা।