জলপাইগুড়ি: ফের চালু হতে চলেছে বন্ধ চা নিলাম কেন্দ্র (Tea Auction Centre)। চায়ের শহরে বন্ধ ছিল জলপাইগুড়ির চা নিলাম কেন্দ্র। দীর্ঘ সাত বছর ধরে বন্ধ থাকার পর কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রক ও টি বোর্ডের বিশেষ উদ্যোগে ফের চালু হতে চলেছে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। খুশির হাওয়া চা বণিক মহলে। এই বিষয় নিয়ে হাই পাওয়ার কমিটি সোমবার ইন্ডিয়ান টি প্ল্যান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাকক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে। এই সভাতে ভারতীয় চা পর্ষদের ডেপুটি ডিরেক্টর উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ক্রেতা, বিক্রেতা, স্টেক হোল্ডাররাও। জানানো হয়েছে, এপ্রিল থেকে নিলাম শুরু করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এদিনের বৈঠকে নিলাম সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও চা নিয়ে আসা, মজুত রাখা-সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
২০০৫ সালে জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র চালু করা হয়। করলা নদীর ধারে তৈরি এই চা নিলাম কেন্দ্র নিয়ে অনেক স্বপ্ন চা ব্যবসায়ীদের। প্রথম দিকে ভাল পরিমাণেই চা নিলাম হতো। তবে চার বছরের মধ্যে সেটা অনেকটাই কমে যায়। এরপরে বহু ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে চা নিলাম হয়েছে। কিন্তু এরপরই নিলাম কেন্দ্রটি থেকে চা নিলাম বন্ধ হয়ে যায়। তবে নতুন করে এই নিলাম কেন্দ্রটি চালু করার দাবি উঠতে থাকে বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকী নির্বাচনের প্রচারেও বিরোধী শিবিরে জায়গা করে নিয়েছে জলপাইগুড়ির এই চা নিলাম কেন্দ্র।
এদিন বৈঠকের পরে নিলাম কেন্দ্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত বলেন, “টি বোর্ড এই মিটিংয়ে স্টেক হোল্ডার, ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্রোকার সকলকেই ডেকেছিল। জলপাইগুড়ি অকশন কমিটির লোকজনও ছিলেন। নানা রকম প্রস্তাব আছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। একটা কমিটি তৈরি করা হবে কাজের জন্য। সেখানে স্টেক হোল্ডার, ক্রেতা, বিক্রেতা, ব্রোকার সবপক্ষই থাকবে।”
অন্যদিকে টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সচিব (উত্তরবঙ্গ শাখা তরাই ডুয়ার্স) সুমিত ঘোষের কথায়, “সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখেই এই পথে এগোনো হবে। এখন চা শিল্পে নানা চ্যালেঞ্জ। সুস্থ মানসিকতা নিয়ে সকলে এগিয়ে আসুক। এই সেন্টারটা চালু হলে শুধু জলপাইগুড়ি নয়, সার্বিক অর্থনীতির ছবিতে বদল আসুক সেটাই চাইব। প্রচুর ছেলে মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। খুব ভাল আলোচনা হল। একটা কমিটিও তৈরি হবে। আমরা সময় নষ্ট করব না।”