ঝাড়গ্রাম: সম্প্রতি কলকাতায় মেটিয়াবুরুজে চোখের ছানি অপারেশন করতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি খুইয়েছেন অনেকে। চোখের সমস্য়ায় এখনও ভুগছেন বহু। এরইমধ্যে এবার ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের ওষুধের দোকান থেকে ভুল ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। চোখের ড্রপের জায়গায় বাচ্চাদের পেট ব্যথার ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঝা
ড়গাম শহরের শিরিষ চক এলাকার বাসিন্দা হাসি দাস গত ১৩ জুন ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে চোখের সমস্যা নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, ডাক্তার দেখানোর পর দু’টি ওষুধ দেওয়া হয় তাঁকে। একটি হাসপাতালের ওষুধ বিভাগ থেকে নেন, আরেকটি বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়েছিল।
হাসি দাস বলেন, “হাসপাতাল থেকে নেওয়া ওষুধটা প্রথমবার ব্যবহারের পরই মাথা যন্ত্রণা শুরু হয়, চোখও জ্বলছিল। যদিও ৫ দিন ওষুধটা দিই। এরপর ওষুধের দোকানে গিয়েছিলাম বাইরে থেকে নেওয়ার ওষুধটা কিনতে। সেখানে প্রেসক্রিপশন দেখে ধরা পড়ে বাচ্চার পেটে ব্যথার ড্রপটা আমাকে দিয়েছে। এরপর হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যাই। উনি বলেন, এ ওষুধ তো উনি দেননি। তারপর সুপারের কাছে জানালাম। উনি লিখিত দিতে বলেন। ১০ তারিখের ঘটনা। এখনও আমাকে কিছুই জানানো হয়নি।”
হাসি দাস জানান, এখন চোখের মণিতে ব্যথা হচ্ছে তাঁর। তিনি বলেন, সুপারকে হাতে চিঠি দেওয়ার সুযোগ নেই। চিঠির বাক্স আছে। সেখানে তিনি দু’বার চিঠি দেন। তাও কেউ যোগাযোগ করেনি। এ বিষয়ে এমএসভিপি অনুরূপ পাখিরা বলেন, “আপনাদের কাছেই প্রথম বিষয়টা শুনলাম। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। উনি অভিযোগ করেছেন শুনছি, আমি দেখে নিচ্ছি। একটা তদন্ত কমিটি করে দেখছি এটা কার দোষে হল। হাজার হোক চোখের ব্যাপার। যে কোনও ক্ষতি হতে পারত। আমরা ব্যবস্থা নেব।”