Malda: মালদহে বাড়িতে ঢুকে মহিলাকে অর্ধনগ্ন করে মারধরের অভিযোগ, তৃণমূল বলল…
Malda: অভিযোগ, মহিলার পরনের কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে অর্ধনগ্ন করে শ্লীলতাহানি করা হয় এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। ছুরি দিয়ে চোখের কাছে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়ি গেলে অভিযুক্তরা তাঁদের হুমকি দিয়ে ঘরছাড়া করে রেখেছে বলে অভিযোগ।

মালদহ: জমি বিবাদের জেরে বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে অর্ধনগ্ন করে শ্লীলতাহানি, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। গৃহবধূর স্বামীকেও মারধর করা হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে আবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে। আতঙ্কে ঘরছাড়া আহত ওই দম্পতি। অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-সহ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। ঘটনাটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার।
ওই দম্পতির অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যের মদতে প্রতারণা করে তাঁদের দেড় বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত আত্মীয়রা জমি হাতিয়ে নিয়েছে। এই নিয়ে বিবাদের জেরে চলতি মাসের ১৫ তারিখ সকালে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল কাইয়ুমের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলার স্বামীর উপর আক্রমণ হয়। তাঁকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয়। স্বামীকে বাঁচাতে আসেন মহিলা। অভিযোগ, মহিলার পরনের কাপড় ছিঁড়ে দিয়ে অর্ধনগ্ন করে শ্লীলতাহানি করা হয় এবং বেধড়ক মারধর করা হয়। ছুরি দিয়ে চোখের কাছে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর বাড়ি গেলে অভিযুক্তরা তাঁদের হুমকি দিয়ে ঘরছাড়া করে রেখেছে বলে অভিযোগ। নিজের গ্রামে নিজের ঘরে ঢুকতে পারছেন না ওই দম্পতি।
এদিন সমগ্র ঘটনা নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও অভিযুক্তরা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্তের তালিকায় থাকা একজনের বক্তব্য, বোনের বিয়ের টাকা দেওয়া নিয়ে তাঁদের পারিবারিক বিবাদ ছিল। অভিযোগকারী মহিলার স্বামীই তাঁকে আক্রমণ করেন বলে তাঁর দাবি। তাঁর বক্তব্য, এর সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যের বা তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। এই ঘটনায় চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁর কোনও যোগ নেই। ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেনও না।
এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, “এটা লজ্জার বিষয়। তৃণমূল বলে, মা-মাটি-মানুষের সরকার। এখানে না মা সুরক্ষিত রয়েছেন। না মাটি সুরক্ষিত রয়েছে। রাজ্যে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত।” রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।

