মালদা: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে নতুন করে চাঞ্চল্য মালদার গাজোলে। সেখানে এক জয়ী প্রার্থীকে পরিবার-সহ অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির কর্মী দীপালি বেসরা এবার পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। খাতায় কলমে ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির সদস্য হলেও প্রতীক নিয়ে জটিলতার কারণে সিপিএমের প্রতীকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেই জয়ী প্রার্থীকে স্বামী ও পুত্র সহ অপহরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে সোমবার মালদার গাজোল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। জয়ী প্রার্থীকে অপহরণের প্রতিবাদে মিছিলও করেন তাঁরা।
অভিযোগ, দীপালি বেসরা ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্ষোভকারীদের সন্দেহ, পঞ্চায়েতে তাদের জয়ী প্রার্থীকে অপহরণ করে নেওয়া হয়েছে। দীপালি বেসরা, তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ মুর্মু ও পুত্র সুব্রত মুর্মু – তিনজনকেই অপহরণ করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে এর আগেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেই ক্ষোভ জমছে তাঁদের মনে। সেই কারণে সোমবার দুপুরে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে গাজোলে একটি মিছিল করেন তাঁরা। পরে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
থানার সামনে এদিন দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সুর চড়াতে থাকেন তাঁরা। এদিকে থানা ঘেরাও কর্মসূচির জন্য গাজোল থানা চত্বরে পুলিশি বন্দোবস্তও ছিল চোখে পড়ার মতো। থানার গেটের সামনে সারি সারি গার্ড রেল বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। হেলমেট পরে ব্যারিকেড সামলাতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দীপালি বেসরা ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরে গাজোল থানা চত্বরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল।