Awas Yojana: পলিথিন-ত্রিপল খাটিয়ে বাস, অথচ আবাসের তালিকায় থেকে ‘বাদ’ আস্ত একটা গ্রাম

Awas Yojana: গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর, অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। অর্থাভাবের ছাপ স্পষ্ট গোটা গ্রামেই। গ্রামবাসীরা বলছেন, সংসারের যা হাল তাতে তিনবেলা ঠিক করে খাবারই জোটে না। সেখানে ঘর তৈরি করা তো অনেক দূরের কথা।

Awas Yojana: পলিথিন-ত্রিপল খাটিয়ে বাস, অথচ আবাসের তালিকায় থেকে ‘বাদ’ আস্ত একটা গ্রাম
ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের লোকজনImage Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 07, 2024 | 6:19 PM

মালদহ: আবাস নিয়ে শোরগোল যেন কিছুতেই থামছে না। এবার গোটা গ্রামই বাদ গেল আবাসের তালিকা থেকে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামের লোকজন। গ্রামবাসীদের দাবি, ২০১৭ সালের বন্যা সব শেষ করে দিয়েছে। গ্রামে প্রায় ২০০-র বেশি পরিবার রয়েছে। কারও পাকা ঘর নেই। কোনওমতে ত্রিপল খাটিয়ে, চালার নিচে চলে দিন গুজরান। কিন্তু, ‘আবাস প্লাস’ সার্ভের তালিকায় গ্রামের কারও নাম না থাকায় চিন্তায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা। 

এদিকে গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দিনমজুর, অনেকেই পরিযায়ী শ্রমিক। অর্থাভাবের ছাপ স্পষ্ট গোটা গ্রামেই। গ্রামবাসীরা বলছেন, সংসারের যা হাল তাতে তিনবেলা ঠিক করে খাবারই জোটে না। সেখানে ঘর তৈরি করা তো অনেক দূরের কথা। কেউ পলিথিন টাঙিয়ে, কেউ টালি বা টিনের ছাউনি দিয়ে জরাজীর্ণ কাচা ঘরে কোনওমতে করছেন দিন গুজরান। কিন্তু, তারপরেও আবাসের ঘর না মেলায় বাড়ছে ক্ষোভ। 

শুধু যে তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না এমনটা নয়, স্থানীয় বাসিন্দা পুনায় মিশর,বকনি মিশর ও বিনয় মিশরদের অভিযোগ, যাঁদের পাকা ঘর রয়েছে তাঁদের নাম রয়েছে তালিকায়। বলছেন, “আমরা তো পলিথিন খাটিয়ে কোনওরকমে থাকছি। আমাদের কিন্তু কেউ খোঁজ নিতে আসে না।” হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে সার্ভের তালিকায় প্রায় ১৮,০০০ হাজার নাম ছিল। ২০২২ সালে পুনরায় যে সার্ভে হয় তাতে সংখ্যাটা শেষ পর্যন্ত ৯,২২২ দাঁড়ায়। ২১ অক্টোবর থেকে ফের সার্ভে শুরু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।  ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দাদের নাম কেন নেই তা খোঁজ নিয়ে দেখব।