মালদহ: আবাস প্লাসের সার্ভে চলছে গভীর রাতে! কাটমানি দিলে তবেই নাকি তালিকায় উঠছে নাম। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখালেন মহিলারা। গ্রামে আবাসের সমীক্ষা চালাতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের জনমদল গ্রামে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন এলাকাবাসী। মহিলাদের সামনে রেখেই চলে বিক্ষোভ। অভিযোগ, যাদের কাঁচা বাড়ি আছে তাঁদের কারও নাম নেই তালিকায়। অনেকের নাম বাদ চলে গিয়েছে বলেও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। আরও অভিযোগ, যাদের পাকা বাড়ি আছে, তাদেরই নাম থাকছে তালিকায়।
গ্রামবাসীদের একাংশ বলছে, দুর্নীতির জেরে বঞ্চিত হচ্ছেন আসল যোগ্য উপভোক্তারা। কাটমানির বিনিময়ে ঘর দেওয়া হচ্ছে বলেও তাঁদের দাবি। আর যাঁরা দিতে পারছেন না তারা ঘর পাচ্ছেন না! সার্ভের অফিসাররা গ্রামে যাচ্ছেন রাতের অন্ধকারে! এমনটাই অভিযোগ। এক গ্রামবাসী বলেন, “রাত হলে ওরা আসছে। আর সকালে উঠে শুনছি- এ বাড়ি পেয়ে গেল, ও বাড়ি পেয়ে গেল। আমরা পাচ্ছি না।” এদিকে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা উপপ্রধান একরামুল হক বলেন, “অনেকের কাঁচা বাড়ি থাকলেও তাঁদের তালিকায় নাম নেই। তাই তাঁরা বিক্ষোভ করবেন, এটাই স্বাভাবিক।” উপপ্রধানের দাবি, সার্ভে অফিসাররা তাঁকে একবারও ডাকেননি। তবে রাতে সার্ভে করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, অফিসাররা দিনের বেলাতেই গ্রামে যান, সার্ভে করতে করতে রাত হয়ে যায়।