Malda: সুস্থ সদ্যোজাতর আচমকা মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠতেই চিকিৎসক বললেন…
Chaos in hospital over newborn death: যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সুখেন্দু সাহা বলেন, "স্বাভাবিক প্রসব হয়েছিল। বাচ্চাটি সুস্থই ছিল। এদিন সকালেও শিশুটি ভাল ছিল। আচমকা বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। আমার মনে হয়, মাতৃদুগ্ধ পানের সময় শ্বাসনালীতে আটকে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে।"

মালদহ: তিনদিনের শিশুর মৃত্যু। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও চিকিৎসকের বক্তব্য, মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে শ্বাসনালীতে আটকে মৃত্যু হয়েছে ওই সদ্যোজাতর।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন পিপলা এলাকার নেহা দাস(২৫)। জন্মের পর সুস্থ ছিল সদ্যোজাত। এদিন হঠাৎ মাতৃদুগ্ধ পান করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরিবারের লোক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসক জানান। পরিবারের লোকের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিতে সদ্যোজাতর মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসককে ডাকতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং ধাক্কা মারা হয়।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মৃত সদ্যোজাতর কাকা রাজা দাস বলেন, “গত ৩১ অক্টোবর আমার দাদার ছেলে হয়। জন্মের সময় সুস্থই ছিল। আজকে বিকেল ৪টায় ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। আজ সকালে ভাইপো দুধ খাচ্ছিল না। তখন ডাক্তারদের দেখাতে যায়। ডাক্তার ঠেলে সরিয়ে দেন। দুর্ব্যবহার করেন। ডাক্তার বলেন, বেশি বললে মালদহে রেফার করে দেব। চিকিৎসার গাফিলতিতে আমার ভাইপোর মৃত্যু হয়েছে। আমরা চাই, হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
যদিও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক সুখেন্দু সাহা বলেন, “প্রসূতির স্বাভাবিক প্রসব হয়েছিল। বাচ্চাটি সুস্থই ছিল। এদিন সকালেও শিশুটি ভাল ছিল। আচমকা বাচ্চাটির মৃত্যু হয়। আমার মনে হয়, মাতৃদুগ্ধ পানের সময় শ্বাসনালীতে আটকে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছে। এটাও শুনলাম, বাইরে থেকে দুধ এনে খাইয়েছিল। চিকিৎসায় কোনও গাফিলতি হয়নি। বাচ্চাটির কোনও অসুবিধাই ছিল না।”
