মালদহ: দশ দফা দাবি। তার মধ্যে অন্যতম যেমন তিলোত্তমার ন্যায় বিচার, তেমনই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা। এই সকল দাবির জন্যই লড়ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহের মধ্যেই ফের হুমকির মুখে চিকিৎসক ও নার্সরা। মদ্যপ অবস্থায় এসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে।
সাগরদত্তের পর এবারের ঘটনাস্থল মালদহের রতুয়া ১ নম্বর ব্লক হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আঙুল কেটে যাওয়ায় এক ব্যক্তি হাসপাতালে যান। সেই সময় সুতো না থাকায় রোগীর পরিরবারকে সুতো কিনে আনতে বলা হয়। তাঁরা কিনে আনলে তবে আঙুলের ক্ষত সেলাই করা হয়। পরে রোগীর পরিবার ও এলাকার কয়েজন লোকজন দল বেধে মদ্যপ অবস্থায় এসে হুমকি দিতে শুরু করে বলে দাবি চিকিৎসকদের। টেবিল চাপড়ে অশ্লীল ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়। বাধ্য হয়ে থানায় জানালে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক অঙ্কুশ মণ্ডল জানান, “পুরো বিষয়টিতে সমস্ত কিছু আমাদের কাছে থাকলেও সেলাইয়ের যে সুতোটি হয় সেটা ছিল না আমাদের কাছে। ওরা কিনে আনে। তারপর সেলাই করাও হয়। যখন পুরো প্রসেস শেষ তখন ওই রোগীর পরিবারের লোক অভিযোগ করেন কেন সুতো কিনে আনতে হচ্ছে? কেন হাসপাতালে সুতো নেই? আর যাঁরা এসেছিল তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। টেবিল চাপড়ায়। মাঝে মাঝেই এই ঘটনা ঘটে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।”
ঘটনার পরই গুচ্ছ-গুচ্ছ প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কেন হাসপাতালে সুতো থাকবে না। কিন্তু চিকিৎসকদের বক্তব্য, সরকারি হাসপাতলে যাবতীয় সরঞ্জাম মজুত থাকার দায়িত্ব তাঁদের নয়। তাঁরা চিকিৎসক। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ তাঁদের। তাহলে দায়ভার কার? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মত, মালদহ হোক বা সাগরদত্ত, বারবার চিকিৎসক-স্বাস্থ্য কর্মীদের হেনস্থার ঘটনায় দায় কি এড়াতে পারে সরকার? জুনিয়র চিকিৎসকরা বারবার দাবি করেছেন, হাসপাতাল গুলিতে হয় পর্যাপ্ত বেড থাকে না, নয়ত পরিষবা দেওয়ার সরঞ্জাম থাকে না। যা দেখার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এইসবের জন্য রোগীর পরিবারের কাছে বারেবারে হেনস্থা হতে হয় তাঁদের।