Independence Day 2022: ব্রিটিশ শাসকের নামে এখনও চলছে সরকারি দফতর, নাম পরিবর্তনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে

Malda: সোমবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে স্বাধীনতা দিবস প্রতিবছর পালন হলেও এই সরকারি দফতরের সাইনবোর্ডে আজও জেমস পেডির নামই জ্বলজ্বল করছে।

Independence Day 2022: ব্রিটিশ শাসকের নামে এখনও চলছে সরকারি দফতর, নাম পরিবর্তনের আর্জি মুখ্যমন্ত্রীকে
সরকারি দফতর এখনও ব্রিটিশ শাসকের নামে (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2022 | 6:32 AM

মালদা: দেশে তখন চলছে ব্রিটিশ শাসন। জেমস পেডি। এক অত্যাচারি শাসক। তৎকালীন ব্রিটিশ শাসনে তাঁর অত্যাচারের নমুনা ছিল অসংখ্য। অথচ তাঁরই নামে এখনও বর্তমান রয়েছে সরকারি দফতর। যার নাম পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন মালদা জেলার একদল সচেতন মানুষ।

সোমবার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে স্বাধীনতা দিবস প্রতিবছর পালন হলেও এই সরকারি দফতরের সাইনবোর্ডে আজও জেমস পেডির নামই জ্বলজ্বল করছে। তাঁর নামেই মালদা শহরে রবীন্দ্র এভিনিউ এর পাশেই পশ্চিমবঙ্গ রেশম বিভাগ দফতর। রয়েছে জেমস পেডি রেশম সুতা কাটাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও। সরকারি কাগজে কলমেও জেমস পেডির নামেই রয়েছে দফতর। রাজ্য সরকারের এই দফতরের নাম বদলের জন্যে বহুবার আর্জি জানানো হয়। তবে ফল কিছুই হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে মালদার বহু মানুষ এই সরকারি দফতরের নাম পরিবর্তন করতে দ্বারস্থ হতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর।

মালদার এক সচেতন ব্যক্তি জানান, ‘১৫ অগস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। আমরা মালদাবাসী অত্যন্ত বেদনার সঙ্গে দিনের পর দিন লক্ষ্য করেছি শহরের প্রাণকেন্দ্র রাজমহল রোডে ব্রিটিশ অত্যাচারী শাসক জেমস পেডির নামে রয়েছে সরকারি দফতর। সেই কারণে আমরা মালদাবাসী চাই এই দফতর কোনও মনীষীর নামে হোক যাতে স্বাধীনতা সংগ্রামী যারা বহু কষ্টে তাঁকে হত্যাকে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের আত্মা যেন শান্তি পায়।’

ইতিহাসের কথা

অতীত বলছে, ১৯২৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তকে বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের মেদিনীপুর শাখার দায়িত্ব দেন। দীনেশ গুপ্তের অক্লান্ত চেষ্টায় মেদিনীপুর জেলায় বিপ্লবী আন্দোলন অন্য মাত্রা পায়। বিমল দাশগুপ্ত হয়ে ওঠেন দীনেশ গুপ্তের মন্ত্রশিষ্য। লবণ আইন অমান্যের সময় জেলাশাসক জেমস পেডি দিঘা সমুদ্রতীরে সত্যাগ্রহীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছিলেন সেই সময়। এর প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবীরা সিদ্ধান্ত নেন পেডি হত্যার। জ্যোতিজীবন ঘোষের সঙ্গে বিমল দাসগুপ্ত এই দায়িত্ব পান।

এরপর ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ এপ্রিল মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে প্রদর্শনী দেখতে এলে পেডি সাহেব এই দুই বিপ্লবীর গুলিতে নিহত হন। দু’জনেই পালাতে সক্ষম হন। বিমল দাসগুপ্ত আত্মগোপন করে ঝরিয়া অঞ্চলের কয়লাখনিতে চাকরি নেন ও পরে কলকাতার মেটিয়াবুরুজেও থাকতেন, তবে পুলিশ সন্ধান পায়নি।