মালদা : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর গায়ে কড়াই থেকে ফুটন্ত গরম জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই গৃহবধূকে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রামে। টুম্পা সাহা নামে ওই গৃবধূর আর্ত চিৎকারে শুনে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনা দেখে থ হয়ে যান সকলেই। শোরগোল শুরু হয়ে যায় গোটা এলেকায়। শেষে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রাই তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। টুম্পা দেবীর শরীরের একটা বড় অংশ পুড়ে গিয়েছে। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন স্বামী। কিন্তু ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাড়া করে তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দুলাল সাহা। শুধু প্রতিবেশীরাই নন দুলালের কাণ্ডে ক্ষুব্ধ তাঁর আত্মীয়রাও। গ্রেফতারির পর তাঁর সঙ্গে থানায় কেউই দেখা করতে যাননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জামিন পেলেও দুলালকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রামে দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের আমদাবাদের বাসিন্দা টুম্পার। তার দুই শিশু পুত্র রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই টুম্পাকে তাঁর শাশুড়ি ও স্বামী প্রায়শই নির্যাতন করত বলে অভিযোগ। গত কয়েকদিন ধরে নির্যাতন আরও চরমে উঠেছিল। তারমধ্যে এদিন ঘটে গেল এই ঘটনা। ঝামেলার মধ্যেই ফুটন্ত কড়াইয়ের জল পিছন থেকে টুম্পার শরীরে ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
ঘটনা প্রসঙ্গে টুম্পা বলেন, “কড়াইয়ে আলু সেদ্ধ করছিলাম। পাশে দুই ছেলেকে নিয়ে মটরশুটি ছাড়াচ্ছিলাম। তখনই কড়াইয়ের সেদ্ধ জল আমার শরীরে পিছন থেকে আচমকা ঢেলে দেওয়া হয়। যে এমন আচরণ করতে পারে তার সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না।”