Malda School: পড়ুয়া আছে শিক্ষক নেই! বাংলার এই স্কুলে বাধ্য হয়ে ভাইদের ক্লাস নিচ্ছে ক্লাস এইটের দাদারা

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 27, 2024 | 12:38 PM

Malda School: প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ৬ জন শিক্ষক নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রটির পথ চলা শুরু। ২০০৩ সালে অনুমোদন পায়। সে সময় দু'জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়। এরপর ধাপে ধাপে ৬ শিক্ষকেরই বেতন চালু হয়। পরে এক শিক্ষক মারা যান।

Malda School: পড়ুয়া আছে শিক্ষক নেই! বাংলার এই স্কুলে বাধ্য হয়ে ভাইদের ক্লাস নিচ্ছে ক্লাস এইটের দাদারা
এভাবেই চলছে ক্লাস
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

মালদহ: শিক্ষকের অভাব। এদিকে চারটি ক্লাস মিলিয়ে স্কুলে পড়ুয়া ৮১ জন। শিক্ষক মাত্র একজন। তাঁর পক্ষে সব ক্লাস নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হয় না। তিনি ব্যস্ত রোজ মিড ডে মিলের বাজার আর হিসাব সামলাতে। হাতে যে টুকু সময় মেলে তাও খরচ হয়ে যায় এসআই অফিস, ব্লক প্রশাসনের দরজায় ঘুরতে গিয়ে। শেষ পর্যন্ত পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছে অষ্টম শ্রেণির দাদারা। অনেক সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্ররাও ক্লাস নেয় তাঁদের নিচু ক্লাসের। প্রশ্নের মুখে স্কুলের সামগ্রিক পরিকাঠামো। চাঞ্চল্যকর ছবি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের। স্কুলের বেহাল দশা, শিকেয় উঠেছে পঠন-পাঠন, তারপরেও কেন হচ্ছে না শিক্ষক নিয়োগ? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অভিভাকেরা। 

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ৬ জন শিক্ষক নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রটির পথ চলা শুরু। ২০০৩ সালে অনুমোদন পায়। সে সময় দু’জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়। এরপর ধাপে ধাপে ৬ শিক্ষকেরই বেতন চালু হয়। পরে এক শিক্ষক মারা যান। বাকি চার শিক্ষকও ধীরে ধীরে অবসর নেন। তারপর থেকে আর কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। ২০২২ সাল থেকেই সেখানে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। নেই কোনও গ্রুপ ডি কর্মী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহানুল হক বলছেন, আমাকে পড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত কাজ করতে হয়।

স্কুলে খাতায়-কলমে ৮১ জন পড়ুয়া থাকলেও নিয়মিত আসে ৩০-৩৫ জন। শিক্ষকের অভাবের জন্যই ছাত্ররা আসে না বলে বক্তব্য স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দা রাহানুল হক, হাসিনা বিবিরা বলছেন, গ্রামে স্কুল হওয়ায় প্রথমে খুব আনন্দ হয়েছিল। কিন্তু এখন পড়ুয়া থাকলেও শিক্ষক নেই। এভাবে চলতে থাকলে তো একদিন স্কুলটাই বন্ধ হয়ে যাবে।

Next Article