মালদা: ২০২৩ সালের মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ (Madhyamik Result 2023) হয়েছে শুক্রবার। তাতে তাক লাগানো রেজাল্ট করেছেন জেলার পড়ুয়ারা। এই যেমন মালদার (Malda) রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির। এই স্কুল থেকে নজরকাড়া রেজাল্ট করেছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। মেধাতালিকায় প্রথম দশের মধ্যে ১৩ জন রয়েছে এই স্কুল থেকে। মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশের মধ্যে মালদা জেলা থেকে মোট ২১ জন রয়েছে, তার মধ্যে ১৩ জনই এই স্কুল থেকে। মাধ্যমিকে ৬৯১ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রিফাত হাসান সরকার এই স্কুলের পড়ুয়া। শুধু রিফাতই নয়, মাধ্যমিকে তৃতীয় স্থানাধিকারী ছয় জনের মধ্যে চারজনই মালদার এই রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে এবার মাধ্যমিক দিয়েছে।
মহম্মদ সারওয়ার ইমতিয়াজ, মাহির হাসান, স্বরাজ পাল এবং অর্ঘদীপ সাহা মাধ্যমিকে ৬৯০ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে এবং এরা প্রত্যেকেই মালদার এই স্কুলের পড়ুয়া। অর্থাৎ মাধ্যমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারীর মধ্যে এই স্কুল থেকেই রয়েছে পাঁচজন পরীক্ষার্থী। এর পাশাপাশি মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির থেকে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও দশম স্থানাধিকারী মিলিয়ে রয়েছে আরও আটজন পরীক্ষার্থী। ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন এই স্কুলের রেহান আবেদিন ও ঋদ্ধিশ দাস। সপ্তম স্থানে রয়েছে শেখ আয়ান রাশিদ ও মহম্মদ ফাহিম আনিস। অষ্টম স্থানে রয়েছে অরণ্য লালা ও দেবকুমার মিশ্র। দশম স্থানে রয়েছে অনুব্রত ঘোষ ও অঙ্কিত মণ্ডল। এরা প্রত্যেকেই মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের কৃতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। একই স্কুল থেকে মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় এতজন পড়ুয়া উঠে আসায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি স্কুলের শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিকে ফলপ্রকাশের পর দ্বিতীয় স্থানাধিকারী রিফাতের বাড়িতে ফোনও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাধ্যমিকে তাক লাগানো রেজাল্টের জন্য তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। রিফাত ও তাঁর সহপাঠীদের জীবনের এমন বড় পরীক্ষায় অনবদ্য রেজাল্টের জন্য় খুশি মালদা শহরবাসীও।
স্কুলের পড়ুয়াদের এই সাফল্যের পর মহারাজ স্বামী তাপহরানন্দ বলছেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা রেজাল্ট ভাল করবে, সেই আশা ছিল। তবে যেমন হয়েছে, তা আশার থেকেও ভাল হয়েছে। মেধাতালিকায় যে স্থান হবে, সেই নিয়ে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু ওদের রেজাল্ট এতটাই ভাল হয়েছে, সেই কারণে সামগ্রিক রেজাল্ট নজরকাড়া হয়েছে। ওরা আরও ভাল পড়াশোনা করুক, আরও বড় হোক। স্বামীজির ভাবনা মতো, ওদের হৃদয় ও মস্তিস্কের বিস্তার আরও ভাল হোক এবং হাত কর্মঠ হোক। তাহলে দেশ গঠনে সাহায্য হবে।’