Gazole Minor Harassment: ‘সরকারের তরফে কোনও সুবিধা পাইনি,আজ কেন এসেছেন?’ রাজ্যের কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন নির্যাতিতার মা
Gazole Minor Harassment: নির্যাতিতার মা বলেন, "ম্যাডামের সঙ্গে আমার কোনও দিনও দেখা হয়নি। আজকে প্রথম দেখা। আমি চাই দিল্লির স্যরের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু রাজ্যের ওই ম্যাডাম বলছেন ওরা যদি ঢোকে, আমিও ঢুকব।"
গাজোল: রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা গাজোলে গণধর্ষিতার বাড়িতে পৌঁছতেই গ্রামবাসীদের প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘এতদিন পর কেন এসেছেন?’ যা নিয়ে শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। এলাকাবাসী বারংবার অভিযোগ জানিয়ে প্রশ্ন করেন, তাহলে কি কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন এলাকায় আসতেই ঘুম ভেঙেছে রাজ্যের? তবে শুধু গ্রামবাসীরা নন, এ দিন রাজ্য ও রাজ্যের কমিশনের উপর একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন নির্যাতিতা শিশুটির মা। বলেন, “ম্যাডামের সঙ্গে আমার কোনও দিনও দেখা হয়নি। আজকে প্রথম দেখা। আমি চাই দিল্লির স্যরের সঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু রাজ্যের ওই ম্যাডাম বলছেন ওরা যদি ঢোকে, আমিও ঢুকব।”
আজ সকাল থেকেই গাজোলে দুই কমিশনের বাকবিতন্ডা ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। জাতীয় সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ, এলাকা পরিদর্শনে তাদের বাধা দেয় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের আধিকারিকরা। সেই জল গড়ায় দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতিতে। যার জেরে রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। এ দিন নির্যাতিতার মা সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “আমি বারবার বলছি ম্যাডাম একটু বের হন। কিন্তু এখানে স্যর ও ম্যাডামের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়ে গেল। আমি প্রশ্ন করছি ওদের। আপনারা আমার বাড়ি অত্যাচার করতে এসেছেন নাকি সুবিচার দিতে এসেছেন? এতদিন ধরে আমি রাজ্যের তরফে আমি কোনও সুবিধাই পাইনি। না জবকার্ড পেয়েছি, না পাট্টা!”
একই ইস্যুতে সরব হয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ঘটনা ঘটে যাওয়ার পনেরো দিন পর রাজ্য সরকারের ঘুম ভেঙেছে। আজ যখন কেন্দ্রীয় টিম এসেছে তখন রাজ্য সুরক্ষা কমিশন ঘুম ভেঙে এখানে এসেছে।”
যদিও, নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত দায় এড়িয়ে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় বলেন, “আমি হয়ত আসিনি। আমি যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলাম। এখানে অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে, মেয়েটিকে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে, ওর কাউন্সিলিং চলছে। আমরা জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনকে সাহায্য করতে এসেছি। কিন্তু ওরা সেই সহযোগিতা নিতে চান না। ওদের মতে কিছু লুকানোর রয়েছে। তবে আমরা কিছুই লুকোচ্ছি না।”