ধরে ফেলল পুলিশ, তৃণমূলের সাবিত্রীকে কি এই গাড়িই পিষে দিতে চাইছিল?
Malda: এরপর তদন্তে নামে মানিকচক থানার পুলিশ। এই নম্বরের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ। পাশাপাশি সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে নাম উঠে আসে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সানিজ আক্তারের।

মালদহ: মালদার মানিকচক বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রকে প্রাণে মারার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত গাড়িকে আটক করল পুলিশ। বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা ওই গাড়ির মালিক। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মানিকচক থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ওই ব্যক্তির মোবাইল। পুরো ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নিজেই।
গত শনিবার রাতে মানিকচক থেকে মালদহ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন সাবিত্রী। তাঁর অভিযোগ,ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথমে একটি গাড়ি এসে তাঁর গাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। পরে ফের সামনে থেকে এসে ধাক্কা মারে বলে খবর। তৃণমূল বিধায়ক অভিযোগ করেছিলেন তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা চলছে। এরপর মানিকচক থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সাবিত্রী। পুলিশকে ৪৭০৬ গাড়ির নম্বর তুলে দেন তিনি।
এরপর তদন্তে নামে মানিকচক থানার পুলিশ। এই নম্বরের ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে সমস্ত গাড়ি রয়েছে সেগুলি খতিয়ে দেখে পুলিশ। পাশাপাশি সিসিটিভি (CCTV) ফুটেজ খতিয়ে দেখে নাম উঠে আসে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার ১৮ মাইল এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ সানিজ আক্তারের। তিনি হলেন এই গাড়ির মালিক।এরপর ওই ব্যক্তিকে মানিকচক থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। ওই ব্যক্তির গাড়িটিকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল ফোন হেফাজতে নিয়েছে।
যদিও, গাড়ির মালিক মোঃ সানিজ আক্তার বলেন, “আমি ব্যবসা সূত্রে প্রতিনিয়ত মানিকচকে আসি। সেই মতো শনিবারও মানিকচক আসার পর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তায় কোনও রকম কিছু ঘটেনি। যেভাবে অন্যান্য গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যেতে হয়, ঠিক সেভাবেই গিয়েছি। আমি কোনও দুর্ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করিনি। পুলিশি তদন্তে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করব। তবে এই গোটা ঘটনায় আমার গাড়ি মোবাইল ফোন পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার কারণে আমি মানসিক চাপে রয়েছি।” সাবিত্রী মিত্র বলেন, “পুলিশ ভাল কাজ করছে। সঠিক কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী, এসপি সকলে দেখছেন। আমি ওদের ভয় না। তবে যা ঘটছে সেটা ঠিক নয়।”

