মালদহ: ফুলাহার নদীতে অবাধে চলছে মাটি পাচার। অভিযোগ, তাতে পুরোদমে মদত রয়েছে শাসক নেতৃত্বের। নদী থেকে মাটি পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে আটক দুই তৃণমূল কর্মী। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাটি ভর্তি ট্রাক্টরও। বিএলআরও এবং বিডিওকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহকুমাশাসক। প্রকাশ্য দিবালোকে ফুলহার নদীর মাটি কেটে পাচার করছিল মাটি মাফিয়ারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, মহকুমা শাসকের নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামায়ণপুর এলাকার ফুলাহার নদীতে অবৈধ মাটি কাটায় ৭ টি ট্র্যাক্টর ও দুই তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। উল্লেখ্য নদী ভাঙন মালদায় প্রতি বছরের সমস্যা। বর্ষাকালে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। নদীগর্ভে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা জমি, বাড়ি, বাগান সর্বস্ব।
জেলার প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে গঙ্গা এবং ফুলহার এই দুটি নদীর ভাঙন প্রতি বছর সর্বস্বান্ত করে বহু মানুষকে। আর সেই ফুলহার নদী থেকেই বেআইনিভাবে মাটি কেটে পাচারের অভিযোগ উঠেছে মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। যাঁদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত শাসক দলের নেতারা এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। এভাবে মাটি কাটা হলে বর্ষাকালে ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দেবে ফুলহার নদীতে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য বক্তব্য, বেআইনি কাজ হলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। চাঁচল মহকুমার মহকুমা শাসক কল্লোল রায় জানিয়েছেন, বিডিও এবং বিএলআরও-কে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।
নদী বুক থেকে মাটি কিংবা বালি পাচারের পরিণতি কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, তার প্রমাণ কিছুদিন আগেই হাতেনাতে মিলেছে। উত্তর দিনাজপুরের করনদিঘি থানার দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম চৌনাগারা এলাকায় সুধানী নদীতে স্নান করতে নেমে হাঁটু জলেই তলিয়ে গিয়েছে তিন ভাইবোন। তিন জনেরই দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই সরব হন তাঁরা। প্রশাসনের ভূমিকাতেও ক্ষোভ উগরে দেন।