মালদহ: নাগাড়ে বৃষ্টিতে মালদহের বামনগোলায় বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক। একাধিক জায়গায় বাঁধে ফাটল। ২টি পঞ্চায়েত এলাকা প্লাবিত। জল ঢুকে যাচ্ছে এলাকায়। যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বামনগোলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘরছাড়া ৫০০-র বেশি পরিবার। স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার। সেখানেও পর্যাপ্ত খাবার নেই বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ত্রাণ শিবির গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন জেলা শাসক নিতিন সিংহানিয়া।
সব থেকে বেশি সঙ্কটজনক বামনগোলার দুটি পঞ্চায়েত। আরও দুটি পঞ্চায়েতের অবস্থাও সঙ্কটজনক। বাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। কোনওক্রমে মাটি-বালির বস্তা দিয়ে জলের স্রোত আটকানো হচ্ছে। কিন্তু এভাবে কতক্ষণ, সেটাই বড় প্রশ্ন। পুনর্ভবার পাশাপাশি মহানন্দা নদীর জলও বেড়ে চলেছে। যার জেরে মালদহের অসংরক্ষিত এলাকা প্লাবিত। এক তলা, এমনকি দোতলা বাড়ির হাফ অংশ জলের তলায়। পাকা বাড়িগুলোর একতলা সম্পূর্ণ জলের নীচে। এক মানুষ ডুবে যাবে সেই জলে, পরিস্থিতি এতটাই সঙ্কটজনক। এর পর যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে শোচনীয় অবস্থা হবে। টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে মালদহ শহরেও।
বন্যা পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদেও। নাগাড়ে বৃষ্টিতে সব থেকে বেশি চিন্তা বাড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা, সামসেরগঞ্জ এলাকা। গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা মহেশটোলা, শিবপুর এলাকায় আবার বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
পাশাপাশি বাংলার সাত জেলা- পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি এবং হাওড়ায় বন্যার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। নবান্নে ইতিমধ্যেই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। নবান্ন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিভিসি র জলাধারগুলি জল ছাড়া শুরু করেছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও জল ছাড়া হতে পারে। সাত জেলার নীচু এলাকা থেকে মানুষজনের সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।