মালদহ: সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধান ক্রয় কেন্দ্রে দালাল রাজ, অবৈধভাবে প্রতি কুইন্টালে পাঁচ থেকে সাত কেজি ধলতা, প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা সরকারি ধানক্রয় কেন্দ্রের এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
চাষিদের অভিযোগ, প্রতি কুইন্টাল ধানে পাঁচ থেকে সাত কেজি ধলতা নিচ্ছে মিল মালিকরা। কারোর যদি ১৫ কুইন্টাল ৮৫ কেজি ধান থাকছে। সেই চাষি দাম পাচ্ছে ১৫ কুইন্টালের। সাথে আবার স্লিপের জন্য অতিরিক্ত টাকা লাগছে। গাড়ির জন্যও লাগছে আলাদা টাকা। সক্রিয় থাকছে দালাল চক্র। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ চাষিদের। সমগ্র ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার কৃষক বিরোধী। সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের নামে দালালরাজ চলছে। সেই টাকা যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের ঘরে। যদিও তৃণমূলের দাবি এর আগে চাষিদের জন্য কেউ ভাবেনি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই কেন্দ্র হয়েছে। কোন দালালরাজ চললে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তবে সমগ্র ঘটনায় প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা।
কীভাবে বেনিয়ম হচ্ছে, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ধান বিক্রেতা চাষি আলিমুদ্দিন বলেন, “১৫ কুইন্টাল ৮৫ কেজি ধান নিয়ে এসেছিলাম। ওরা ধান নিল ১৫ কুইন্টাল। আর ধালতা ৮৫ কেজি। আবার টাকাও চাইছে। যে গাড়ি লোড করছে, স্লিপ দিচ্ছে, তারা সবাই ১০০ টাকা করে চাইছে।” বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি।
বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষাণ কেডিয়া বলেন, “এই সরকার কৃষক বিরোধী সরকার। কোনও পদ্ধতি জানে না। কৃষকদের মুনাফা কীভাবে বাড়বে, তা বোঝে না। কাটমানি ছাড়া কিচ্ছু জানে না। ধানবিক্রির একটা পদ্ধতি হবে, সেটা বোঝে না।”
আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি সাহেব দাস বলেন, “চাষিদের কথা মাথায় রেখে ধান কেন্দ্র করা হয়েছে। কেউ দুর্নীতি করার চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ প্রশাসনকে বলব কড়া পদক্ষেপ করতে।”