Maldah: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, হাতেনাতে ধরে পড়ে বিস্ফোরক দাবি ‘অনুপ্রবেশকারীর’

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 25, 2024 | 12:42 PM

Maldah: অভিযোগ, বাংলাদেশের যশোর, শিবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ থেকে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে মালদহ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। বিশেষ করে হবিবপুর, মুচিয়া, বৈষ্ণবনগর-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে।

Maldah: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, হাতেনাতে ধরে পড়ে বিস্ফোরক দাবি অনুপ্রবেশকারীর
আটক অনুপ্রবেশকারী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মালদহ: অবাধে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আর তারপরই হয়ে যাচ্ছে জমি মাফিয়া! পরিবর্তন করে ফেলছেন নাম পরিচয়। এদেশে এসে কিনে ফেলছেন জমি বাড়ি। জমির ব্যাবসাও করছেন। বিস্ফোরক দাবি করলেন এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী।

ওই ব্যক্তি নিজেকে শহিদুল বলে পরিচয় দিয়েছেন। বাড়ি যশোর উপজেলার মোল্লাপাড়ায়। তাঁর দাবি, যশোরের চেয়ারম্যান তাঁকে এই দেশে পাঠিয়েছেন। মালদহের হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের শ্রীরামপুর গ্রামে তাঁকে পাকড়াও করে গ্রামবাসীরাই। বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই ব্যক্তি গ্রামে গিয়েছিল। তাঁর দাবি, তিনি জমি কিনবেন, তার জন্য জমি দেখে বেড়াচ্ছিলেন। তার মতো আরও কয়েকজন এর আগেও এভাবে দেশে ঢুকেছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

শাহিবুল এলাকায় ইতঃস্তত ঘুরতে দেখে এলাকার কয়েক জন বাসিন্দার সন্দেহ হয়। তাঁকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি নিজের পরিচয় দেন। তাঁর কাছে কোনও পাসপোর্ট, ভিসা বা অন্য কোনও পরিচয়পত্র নেই। গ্রামবাসীরা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

অভিযোগ, বাংলাদেশের যশোর, শিবগঞ্জ, নবাবগঞ্জ থেকে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ হচ্ছে মালদহ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। বিশেষ করে হবিবপুর, মুচিয়া, বৈষ্ণবনগর-সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে। বেশ কিছু জায়গায় কাঁটাতার না থাকায় সেই পথে যেমন অনুপ্রবেশ হচ্ছে, তেমনই আবার জলপথে খুব সহজেই এপারে মালদহে ঢুকে পড়ছে তাঁরা।

অভিযোগ উঠছিল, এই অনুপ্রবেশের পেছনে মদত দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার বা সেই এলাকার প্রশাসন। শাহিবুলও দাবি করেছেন, তাঁকে যশোরের চেয়ারম্যানই  পাঠিয়েছেন। ফলে অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে। এই নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

তৃণমূল অনুপ্রবেশের বিষয় নিয়ে দায় চাপিয়েছে বিএসএফ-এর ওপরে। তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের বক্তব্য, “বাম আমল থেকেই এই অনুপ্রবেশ হচ্ছে। দলে দলে এলাকায় ঢুকে জায়গা দখল, ব্যবসা করা সব করেছে। সেখানে তাঁদের অল্প দিনের মধ্যেই রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড করে দিত বাম নেতা ও প্রশাসনের আধিকারিক এবং কর্মীরা।”

Next Article