মালদহ: ভুয়ো নথি দেওয়ায় বাতিল হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট। লাভলিকে খোয়াতে হচ্ছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের পঞ্চায়েত প্রধানের পদও। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওবিসি সংরক্ষিত আসনে তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন লাভলি। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশি হয়ে ভারতে প্রবেশ করে ভোটে লড়ারও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ তোলেন তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী রেহানা সুলতানা। বিডিও-র তদন্তেও লাভলির নথিতে ধরা পড়ে গড়মিল। পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে পরবর্তী ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান বিডিও। তারপরও কোনও পদক্ষেপ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেহানা সুলতানা।
লাভলির ভুয়ো নথি প্রকাশ্যে এনে খবর করে TV9 বাংলা। তারপরই নড়ে বসে প্রশাসন। বাতিল করা হল লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন বলেন, “দেখা গিয়েছে ওবিসি সার্টিফিকেট নকল। বাতিল হয়েছে। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেবে কী হবে, ভোট হবে নাকি প্রশাসনিক চার্জ হবে, নাকি উপপ্রধানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেটা দেখা যাক।”
রেহানা সুলতানার আইনজীবী ও বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “প্রায় পাঁচ মাসের শেষের পথে এসডিও নির্দেশ দিয়েছেন, লাভলি খাতুনের ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছেন। তার বিরুদ্ধে ক্রিমিন্যাল কেসও শুরু করতে হবে পুলিশকে।”
প্রসঙ্গত, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তারপর নিজের পূর্ব পরিচয় মিটিয়ে ফেলেন। বাবার নামও বদলান। ২০১৫ সালে ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। ২০১৮ সালে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে, নথিতে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। কিন্তু অভিযোগ, লাভলির বাবার নাম শেখ মুস্তাফা নয়। আসল নাম জামিল বিশ্বাস।
২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লাভলি। জয়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও হয়ে যান। লাভলির কাছে যিনি পরাজিত হন, সেই রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।