Malda: তুতো ভাইঝিকে নিয়ে পালান যুবক, পারিবারিক বিবাদে ব্যক্তিকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুন
Man killed by uncle: স্থানীয় বাসিন্দারা ভরত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেন। পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মালদহ: তুতো ভাইঝির সঙ্গে প্রেম যুবকের। পালিয়ে গিয়েছিলেন ২ জন। তা নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ। আর সেই বিবাদকে কেন্দ্র করেই এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর কাকার বিরুদ্ধে। মৃত ব্যক্তির নাম মন্টু মণ্ডল (৪৩)। অভিযুক্ত কাকা ভরত মণ্ডল বেধড়ক মারধর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজন্না গ্রামে বাড়ি মন্টু মণ্ডলের। তাঁর তিন মেয়ে ও এক ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, মন্টু মন্ডলের এক মেয়ের সঙ্গে মন্টুর কাকা ভরত মণ্ডলের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তুতো ভাইঝির সঙ্গে প্রেম নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। ছয় মাস আগে, মন্টু মণ্ডলের মেয়ে এবং ভরত মণ্ডলের ছেলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। সম্প্রতি মন্টুর মেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। তবে ভরত মণ্ডলের ছেলে বাড়ি ফেরেননি।
গতকাল এই নিয়ে হঠাৎ করে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। সেই সময় আচমকাই হাঁসুয়া নিয়ে মন্টুর উপর চড়াও হন ভরত। মন্টুকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন। পেটে বুকে এবং গলায় একাধিক জায়গায় মন্টুর আঘাত লাগে। উঠোনে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গ্রামের বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তাঁকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ভরত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেন। পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় চিকিৎসার জন্য। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মন্টুর মেয়ে বাড়ি ফিরে এলেও ভরতের ছেলে কেন বাড়ি ফিরলেন না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
