মালদা: মালদার এক স্কুলে (Malda School) বুধবার পিস্তল হাতে ঢুকে পড়েছিল এক ব্যক্তি (Gunman in School)। সটান ক্লাসরুমে। হাতে পিস্তল। টেবিলে রাখা দুটি বোতল। বোতলের মাথাগুলি সাদা কাপড়ে মোড়া। পিস্তল উঁচিয়ে ভরা ক্লাসরুমে ছোট ছোট পড়ুয়াদের সামনে শাসক দল তৃণমূল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তি। অতীতে মার্কিন মুলুকে এমন স্কুলের ভিতের বন্দুকবাজের হানার কথা বহুবার শোনা গিয়েছে। কিন্তু এ দৃশ্য বাংলার কোনও স্কুলে অন্তত সাম্প্রতিক অতীতে দেখা যায়নি। কিন্তু পুলিশ যেভাবে গোটা পরিস্থিতি সামাল দিল, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। ক্লাসরুম ভর্তি খুদে পড়ুয়া। একটু এদিক ওদিক হলেই বড়সড় অঘটনের সম্ভাবনাও ছিল। সে কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয় পুলিশ। সাংবাদিক সেজে ক্লাসরুমের ওই বন্দুকধারীর সঙ্গে কথা বলতে যায় পুলিশ।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীদের পণবন্দী করে দেব বল্লভ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিল। তৃণমূল এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে চেয়েছিল। আর ওই ব্যক্তির এই দাবিকেই কাজে লাগায় পুলিশ। সাদা পোশাকে সাংবাদিকদের ভিড়ে মিশে যায় পুলিশ। স্কুলের ভিতরে শুরু হয় পুলিশের অপারেশন। সাংবাদিক সেজে গিয়ে বন্দুকধারী ওই ব্যক্তিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়। সাদা পোশাকের সেই পুলিশের মধ্যে ছিলেন ডিএসপি আজহারউদ্দিন খানও।
সাংবাদিক সেজেও তিনিও গিয়েছিলেন অপারেশনে। কথা বলতে বলতে আচমকাই ওই বন্দুকবাজের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই। বন্দুকবাজকে কাবু করতে প্রথমটায় একটু বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পরক্ষণেই সাদা পোশাকে থাকা বাকি পুলিশকর্মীরাও এগিয়ে আসেন তাঁকে সাহায্য করতে। শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করেন পুলিশকর্মীরা। যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। কিন্তু যেভাবে ডিএসপি আজহারউদ্দিন খান বন্দুক উঁচিয়ে থাকা ওই ব্যক্তির দিকে ঝাপিয়ে পড়েন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।