মালদহ: মালদহ তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন মালদহ শহর তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। এছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন অমিত রজক নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে আরও অগ্রগতির জন্য ধৃতদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল তা মঞ্জুর করেছে আদালত। জানা যাচ্ছে, তৃণমূল নেতা খুনের আগে এবং পরে কথোপকথনসহ বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি থেকে। তার পাশাপাশি ধৃত সাতজনেরই ভয়েস স্যাম্পেল সংগ্রহ করা হবে।
দুলাল সরকার খুন-কাণ্ডে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অপর এক ধৃত স্বপন শর্মাকে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে সরকারি আইনজিবী পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানান। সেই মত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
এদিকে গতকাল দুলাল সরকারের হয়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী। তদন্তের সওয়াল জবাব সবটাই শুনলেন নিহত কাউন্সিলের স্ত্রী। কারণ পেশায় তিনি নিজে একজন আইনজীবী। এই বিষয়ে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর এর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার জানান, “আমি যেহেতু নিজে আইনজীবী ওই জন্য এসেছি। কোন দিকে তদন্ত এগোচ্ছে, না কি কেউ প্রভাবিত করছে সেটা দেখার দরকার ছিল। সেই কারণে আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম।” একই সঙ্গে ধৃত নরেন্দ্রনাথের হয়ে হয়ে যাতে বার অ্যাসোসিয়েশনের কোনও আইনজীবী যাতে আইনি লড়াই না লড়েন, তার জন্যও তিনি একটি পিটিশন করছেন তিনি।