মালদহ: মিড ডে মিলের জন্য মজুত করা ডালে কিলবিল করছে পোকা। আর সেই ডালই রান্না করে বাচ্চাদের খাওয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এবার ঘটনাস্থল চাঁচল। মিড ডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জেলায় জেলায়। এই অভিযোগের আঁচ পৌঁছেছে দিল্লি অবধি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান লোকসভার অধিবেশন থেকে দাবি করেছেন, বাংলায় মিড ডে মিলে ৪ হাজার কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে। সিবিআই তদন্তের কথাও বলেছেন তিনি। আর এই আবহে আবারও মিড ডে মিলের ডালে পোকার অবাধ বিচরন দেখে রেগে আগুন চাঁচল-১ ব্লকের সঞ্জীব শিশু কেন্দ্রের ঘটনা।
যিনি এখানে রান্না করেন সেই সালেকা বিবির দাবি, বাজার থেকে দেখে দেখে পচা জিনিসগুলি কিনে আনেন দিদিমণি। বাধ্য করেন তা দিয়ে রান্না করতে। সালেকার কথায়, “আমি এখানে রান্না করি। রান্না করতে এসে দেখি ডালে পোকা, বেগুনে পোকা। আমি পরিষ্কার বললাম এসব রান্না করব না। বলছে রান্না করতেই হবে। আমাকে ২ কোয়া রসুন দিয়েছে, চারটে পিঁয়াজ দিয়েছে। ৪৫টা বাচ্চার রান্না এতে হয়। রোজ এভাবে চলছে। এসডিও পর্যন্ত এসে দেখে গিয়েছেন।”
সালেকার কথায়, নিয়ম আছে ভাত, ডাল, সবজি। সপ্তাহে একদিন ডিম, সোয়াবিন দেওয়ারও নিয়ম আছে। কিন্তু ডিম, সোয়াবিন দেওয়া হয় না ঠিকমতো। তাই এদিন গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে সামিল হন রাঁধুনিরাও। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া হয় স্কুলের তরফে। বাধ্য হয়ে রান্না করতে হয়। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষিকা পূর্ণিমা চক্রবর্তী। নিয়ম মেনেই খাবার দেওয়া হয় বলে দাবি তাঁর।