মালদহ: একই দিনে একই জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। রাজ্য তো বটেই, মালদহের এই খবর সাড়া ফেলেছে গোটা দেশেই। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার নির্দেশে শুক্রবার কলকাতা থেকে তড়িঘড়ি মালদায় ফিরে যান রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। ছুটে যান মৃতদের বাড়িতে। স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাই তুমুল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় মালদহে। লাগাতার বজ্রপাতের ছবি দেখা যায়। তাতেই রাতন মালদহের সাহাপুরে একই এলাকার তিনজনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু বয় চন্দন সাহানি(৪০), রাজ মৃধা(১৬) ও মনোজিৎ মণ্ডলের (২১)।
প্রাণ গিয়েছে একাধিক নাবালকের। গাজোলের আদিনাতে আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির অসিত সাহা। আচমকা বজ্রপাতে আর ঘরে ফেরা হয়নি তার। একই ছবি মানিকচকেও। নিকচকের মহম্মদটোলায় রানা শেখ নামে এক বালকের প্রাণ গিয়েছে বজ্রাঘাতে। চৌকি মিরদাদপুর অঞ্চলের নিহালুটোলার আমবাগানে আম কুড়োতে গিয়েছিল শেখ সাবরুল নামে বছর এগারোর এক বালকের। বজ্রাঘাতে প্রাণ গিয়েছে তাঁরও।
প্রাণ গিয়েছে প্রৌঢ়দেরও। হাড্ডাটোলার কাছে একটি আমবাগানের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন অতুল মণ্ডল (৬৫)। বাজের শিকার হয়েছেন তিনিও। জমি ধান কাটতে গিয়ে প্রাণ গিয়েছে সুমিত্রা মণ্ডল নামে এক গৃহবধূরও। হরিশচন্দ্রপুরে এক দম্পতিরও প্রাণ কেড়েছে বাজ। হরিশ্চন্দ্রপুরের কুন্দরিয়া গ্রামে থাকতেন নয়ন রায় (২৩) এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা সিংহ (২০)। বজ্রাঘাতে প্রাণ গিয়েছে তাঁদেরও। ইংরেজবাজারের মিল্কিতে পঙ্কজ মণ্ডল (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়।
শুধু মৃত্য়ু নয়, বজ্রাঘাতে আহতও হয়েছেন অনেকে। ইংরেজবাজারের বুধিয়ার ফাতেমা বিবি বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পুরাতন মালদহের সাহাপুরের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র দুল্লু মণ্ডলও আহত হয়েছে। জলপাইগুড়িতেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। মালবাজার মহকুমার অন্তর্গত গুরজং ঝোরা চা বাগান এলাকায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় একজনের। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে মুর্শিদাবাদেও বৃহস্পতিবার বাজ পড়ে একজনের মৃত্যুর খবর আসে। নবগ্রাম থানার পাঁচগ্রাম এলাকায় মৃত্যু হয়েছে সীমন্ত ঘোষ নামে এক ব্যক্তির।